ওয়েব ডেস্ক: আয়ারল্যান্ডে অভিনব পদ্ধতিতে গর্ভপাতের জন্য প্রতিবাদ জানালেন মহিলারা। নিজেদের ঋতুচক্র সংক্রান্ত বিবরণ প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনির ট্যুইটার প্রোফাইলে লিখে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আয়ারল্যান্ড হল এমন একটি দেশ যেখানে বিশ্বে প্রথম সমলিঙ্গে বিবাহ প্রথা শুরু করা হয়। এছাড়াও ২০ বছর আগে যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদকে অবৈধ বলে গণ্য করা হত। সেই দেশেই ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত গর্ভপাতের জন্য কোনও আইন প্রচলিত ছিল না। এরপর ২০১৩ সালে গর্ভাবস্থায় মায়ের জীবন রক্ষার জন্য একটি আইনের প্রচলন করা হয়। কিন্তু এই আইনই যথেষ্ট ছিল না।


প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে একজন ভারতী মহিলা গর্ভাবস্থায় মারা যান। তাঁর পেটে থাকা ভ্রুনটি মারা যায়। চিকিত্‍সকরা গর্ভপাত না করায় আয়ারল্যান্ডে ওই ভারতীয় মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ক্যাথলিক ধর্মে নিষিদ্ধ হওয়ায় ৩১ বছরের সবিতা হালাপ্পানাভারের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও গর্ভপাত করতে রাজি হননি আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়ে হাসপাতালের চিকিত্‍সকরা। গর্ভপাতের কোনও আইন না থাকার জন্য  ডাক্তারেরা তাঁর গর্ভপাত করতে চাননি। এর ফলেই তাঁর পেটে ইনফেকশন হয়ে যায়। যার জন্যই মারা যান তিনি।


২০১৩ সালে হওয়া আইনে কেবলমাত্র গর্ভাবস্থায় ভ্রুণ এবং মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তবেই গর্ভাপাত ঘটানোর নির্দেশ দেওয়া আছে। কিন্তু প্রতিবাদী মহিলাদের বক্তব্য আরও কয়েকটা ক্ষেত্রে গর্ভাপাত ঘটানোর আইন চালু করতে হবে। ধর্ষণ হলে, পেটে অস্বাভাবিক ভ্রুণ থাকলে বা মায়ের শরীরে কোনও অস্বাভাবিকাতা দেখা দিলেও গর্ভপাতের নিয়ম চালু করতে হবে।


এই গর্ভপাত আইনের প্রতিবাদের সঙ্গে মহিলারা একটি প্লাস্টিকের ভ্রুণ সমেত রক্ত দিয়ে লেখা একটি চিঠি পাঠান যার মধ্যে তাঁদের দাবির সঙ্গে সরকার বদলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় প্রধান মন্ত্রীকে।