ওয়েব ডেস্ক: ''শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে কেউ যদি যায় পিছ্‌লে প'ড়ে প্যায়দা এসে পাক্‌ড়ে ধরে, কাজির কাছে হয় বিচার— একুশ টাকা দণ্ড তার৷..." কি! মনে পড়ছে, সুকুমার রায়ের সেই অমর সৃষ্টি 'একুশে আইন'-এর কথা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু সে তো ছিল মজার ছড়া, আর এখন ঘোর বাস্তবেও নেমে এসেছে সেই একুশে আইন তবে তা আই এস আই এসের হাত ধরে।


সম্প্রতি আই.এস.আই.এস অধীকৃত ইরাক ও সিরিয়ার আঞ্চলিক সংবাদ পত্রগুলোর প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আই এইচ এস, আই এন সি নামক একটি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য। ওই গবেষণার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে আই.এস.আই.এসের হাত থেকে দ্রুত বিভিন্ন এলাকার দখল চলে যাচ্ছে। বেরিয়ে যাচ্ছে তৈল খনির দখলদারি। তাই তাদের কোষাগারে ঘাটতি তৈরী হচ্ছে বড় রকমের। আর সেই জন্যই আই.এস.আই.এস বিভিন্ন রকমের কর বা জরিমানা জারি করছে এলাকার মানুষদের উপর।


কেমন সেই জরিমানার পরিমান দেখে নিন-


১)দাড়ি কাটার জন্য ১০০ মার্কিন ডলার।


২)দাড়ি ছাঁটার জন্য ৫০ মার্কিন ডলার।


৩)পুরুষরা 'ইজার' (কালো দীর্ঘ পোষাক) না পরলে ৫ মার্কিন ডলার।


৪)মহিলারা পাতলা আঁটোসাটো পোষাক পরলে ২৫ মার্কিন ডলার।


৫)মহিলারা মোজা-দস্তানা না পরলে ৩০ মার্কিন ডলার।


৬)এক প্যাকেট সিগারেটসহ একজন পুরুষ ধরা পড়লে ৪৬ মার্কিন ডলার।


৭)এক প্যাকেট সিগারেটসহ একজন মহিলা ধরা পড়লে ২৩ মার্কিন ডলার।


শাস্তির বহরটা দেখলেন তো! তবে এবার একটা ভাল খবর, জরিমানার বিনিময়ে তারা এখন শারীরিক নির্যাতনের হাত থেকেও মুক্তি দিচ্ছে। আর এতেই বোঝা যাচ্ছে তৈল ক্ষেত্রগুলি হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আই.এস.আই.এস কতটা মুশকিলে পড়েছে।