আহত সেনাদের কিডনি বিক্রি করে রোজগার বাড়াচ্ছে আইসিস
আইসিস। রোজকার খবরের একটা খুব `কমন` শব্দ। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায় এদের নিত্য নতুন নৃশংসতার কাহিনী। দিনের পর দিন নিরপরাধ মানুষদের অপহরণ, নির্মম ভাবে তাদের হত্যা, তারপর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল। নিরপরাধ সাধারণ মানুষগুলোই এতদিন ছিল তাদের সবথেকে বড় শত্রু। বলির পাঁঠা। কিন্তু এবার তাদের নৃশংসতার এক অন্যমাত্রার খোঁজ পাওয়া গেল।
ওয়েব ডেস্ক: আইসিস। রোজকার খবরের একটা খুব 'কমন' শব্দ। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায় এদের নিত্য নতুন নৃশংসতার কাহিনী। দিনের পর দিন নিরপরাধ মানুষদের অপহরণ, নির্মম ভাবে তাদের হত্যা, তারপর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল। নিরপরাধ সাধারণ মানুষগুলোই এতদিন ছিল তাদের সবথেকে বড় শত্রু। বলির পাঁঠা। কিন্তু এবার তাদের নৃশংসতার এক অন্যমাত্রার খোঁজ পাওয়া গেল। আর বাইরের লোকেরা নয়, নির্মম হত্যালীলা চলছে ঘরের লোকেদের সঙ্গেই। কাল যারা সঙ্গী ছিল আজ তাদের জ্যান্ত কেটে ফেলছে আইসিস জঙ্গী নেতারা। কিন্তু কেন?
গোটা বিশ্বজুড়ে নিজেদের ত্রাস বজায় রাখতে দরকার হয় অনেক টাকার। সেই টাকার উৎসে এবার টান পড়েছে। তাই বলে কী থেমে থাকবে জঙ্গী কার্যকলাপ? একদমই না। টাকা উপার্জনের নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে তারা। যুদ্ধে আহত সেনাদের তাই জ্যান্ত মেরে ফেলে কালো বাজারের বেচে দিচ্ছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। বদলে মিলছে চড়া দাম। কখনও হাত পা, বেঁধে বসিয়ে গলার উপর বসিয়ে দিচ্ছে চপারের কোপ। কখনও আবার গলায় নেকলেস বোম পেঁচিয়ে দূর থেকে টিপে দিচ্ছে বোতাম। ব্যস! উড়ে যাচ্ছে গলা আর পড়ে থাকছে বাকি শরীরটা। সেই শরীর হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারদের ভয় দেখিয়ে বার করে নিচ্ছে শরীরের সব প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রতঙ্গ। আইসিসের নৃশংসতার সামনে কোনও জায়গা নেই সম্পর্কের। কোনও দাম নেই বন্ধুত্বের।