ওয়েব ডেস্ক: ভ্যালেন্টাইন'স ডে পালন করা চলবে না, সাফ কথা পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের। প্রেম দিবস পালনের উপর শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করেই ক্ষান্ত হয়নি 'মহামান্য আদালত', তার সঙ্গে পাক তথ্যমন্ত্রক, পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পেমরা) এবং ইসলামাবাদ হাই কমিশনের কর্তা ব্যক্তিদের সেই নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জমা দিতেও বলেছেন বিচারপতি সওকত আজিজ। কিন্তু হঠাত্ এমনভাবে ফরমান জারি হওয়ার কারণ কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাক সংবাদ মাধ্যম 'ডন' সূত্রে জানা যাচ্ছে, আব্দুল ওয়াহীদ নামক এক নাগরিক হাইকোর্টে পিটিশন জারি করে বলেন, মূল ধারার গণমাধ্যমে ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র প্রচার আসলে 'ইসলামিক শিক্ষার বিরুদ্ধে এবং অবিলম্বে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত'। প্রকাশ্যে ভ্যালেন্টাইন'স ডে উদযাপনকেও নিষিদ্ধ করে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। পিটিশনে আরও বলা হয়, "ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র মাধ্যমে ভালবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার নামে আসলে অনৈতিকতা, নগ্নতা এবং অভব্যতা প্রচার করা হয় যা কখনই সুপ্রচীন ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে মোলে না।"


আরও পড়ুন- ভ্যালেন্টাইনস ডে তে এই পাঁচটি জায়গায় যেতে পারেন


উল্লেখ্য, প্রতি বছরই পাকিস্তানে ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র উদযাপনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। বেশ কিছু সংগঠন প্রকাশ্যে এর বিরোধীতাও করে থাকে। গত বছরই পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেন ভ্যালেন্টাইন'স ডে সম্পর্কে বলেছিলেন, "আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই। তাই ভ্যালেন্টাইন'স ডে এড়িয়ে যাওয়াই উচিত।...আমাদের এক প্রতিবেশী দেশ (পড়ুন, ভারত) এই পশ্চিমী সংস্কৃতির ধাক্কায় রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।"


প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে উপমহাদেশের চিরন্তন 'ধর্মীয় সহাবস্থান এবং ভাতৃত্ববোধ'-এর ঐতিহ্যই সামনে আসছে। অর্থাত্ বিষয়টা যদি ভ্যালেন্টাইন'স ডে উদযাপন হয়, তাহলে 'রাম-রহিম' উভয়েই 'পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দূষণের হাত থেকে নিজ সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে' সদাসচেষ্ট। এদেশেও বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে যারা ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র দিন প্রেমিক-প্রেমিকাদের 'সামলাতে' 'নীতি পুলিস'-এর উর্দিতে আবির্ভূত হয়। ফলে প্রশ্ন থেকেই যায়, আমরা সত্যিই কতটা আধুনিক মনস্ক হতে পারলাম?


আরও পড়ুন-ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ঘুরতে যেতে পারেন বিশ্বের এই আটটি দেশে