নিজস্ব প্রতিবেদন: বিক্ষোভকারী কট্টরপন্থী বনাম পাকিস্তান প্রশাসন। উত্তেজনার বলি এখনও পর্যন্ত ১০, আহত দু'শোরও বেশি। তবে এই গন্ডগোলের নেপথ্যে ভারতের ভূত দেখছে পাকিস্তান। সে দেশের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী এহসান ইকবালের দাবি, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিক্ষোভকারীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাক দৈনিক ডন নিউজ-কে এহসান ইকবাল বলেন, ''বিক্ষোভকারীরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কেন এমনটা করেছিল তারা? তাদের কাছে ভিতরের খবর রয়েছে। অস্ত্রশস্ত্রও রয়েছে। এগুলি দেশের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বিক্ষোভকারীরা। ওরা জানে না, পাকিস্তান বিরোধীরা ওদের ব্যবহার করছে।'' ফলে, এ কথা স্পষ্ট যে সরাসরি না হলেও এই ঘটনায় পাক অভ্যন্তরীণমন্ত্রী ভারতকেই কাঠগড়ায় তুলছেন।   


আরও পড়ুন- হাফিজ সইদ সন্ত্রাসবাদী, পাকিস্তানকে মনে করাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


গৃহবন্দি দশা থেকে হাফিজ সইদের মুক্তির পর আন্তজার্তিক মঞ্চে চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এরমধ্যেই ইসলাম অবমাননার অভিযোগে উত্তপ্ত গোটা দেশ। ভোটে জেতার পর জনপ্রতিনিধিদের শপথপাঠের একটি ধারা পরিবর্তন করেছেন পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ, এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমে হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু করে দেয় কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে ওই পরিবর্তন। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাক আইনমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, আমরা কোনওদিনই এমনটা করতে পারব না। 


আরও পড়ুন- গণেশের বিজ্ঞাপন হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে, জানাল এসিবি


তবে কে কার কথা শুনছে? পুলিসের ওপরেই হামলা করেছে একদল 'ধর্মান্ধ', অভিযোগ এমনটাই। ২০০ জন জখমের মধ্যে প্রায় ১৪০ জনই পুলিসকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে সেনা। সমস্ত সংবাদমাধ্যম ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। 


এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে আরও একবার পাকিস্তানের মুখোশ খসে পড়ল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ। ভারতের পশ্চিমের প্রতিবেশী যে উগ্রপন্থার ধাত্রীভূমি তা আরও একবার স্পষ্ট হল বেল মত তাঁদের। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে কট্টরপন্থী ও জঙ্গি কার্যকলাপের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এবারও তারই ফল ভোগ করছে তারা।