নিজস্ব প্রতিবেদন: কবি জানতে চেয়েছিলেন, আমরা কি বাজাব না জলপাই কাঠের এসরাজ? এসরাজ না হয় জলপাই কাঠের হল, কিন্তু উপগ্রহ? তা-ও কি কাঠের হয়!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্তত জাপান যেরকম ভেবেছে, তাতে ব্যাপারটা প্রায় তেমনই হতে চলেছে। অচিরেই মহাকাশে ভাসতে চলেছে জাপানের বানানো কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ। ২০২৩ সালের মধ্যে উপগ্রহটি তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন জাপানি গবেষকেরা।


কিন্তু হঠাৎ কেন এরকম ভাবনা?


আসলে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাকাশে দিনে দিনে আবর্জনা (Space junk and debris) বাড়ছে। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের যন্ত্রাংশ-সহ বিভিন্ন জিনিস এই আবর্জনার পর্যায়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানেই এই অভিনব পদ্ধতির কথা ভাবল জাপান। কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ এ ক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে। কেননা, বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে কাঠ পুড়ে কোনও ক্ষতিকর উপাদান মহাকাশে ছড়িয়ে পড়বে না।


জাপানি বিজ্ঞানীরা তাই কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। এই চেষ্টায় তাঁরা সফল হলে তা হবে বিশ্বের প্রথম কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ।


জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ( Kyoto University)ও জাপানের ফরেস্ট্রির (Japanese forestry company) একদল গবেষক কৃত্রিম এই উপগ্রহটি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।


কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kyoto University) অধ্যাপক ও মহাকাশচারী টাকাও ডই (Takao Doi, Kyoto University professor and Japanese astronaut) এক ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাকে বলেন, 'যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীতে আবার ফিরিয়ে আনা হয়, সেগুলি বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে উত্তপ্ত হয়ে পুড়ে যায়। এবং পোড়ার সময়ে সেটি ধাতব সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয় চারপাশে। এসব কণা বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে অনেক বছর ধরে ভেসে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, এসব কণা একটা সময়ের পরে পৃথিবীর পরিবেশের ওপরই বিরূপ প্রভাব ফেলবে।'


Also Read: দৈত্যাকার বরফের চাঁই A68a এখনও ভাসছে সমুদ্রের জলে, পাড় ভেঙে ছারখার হওয়ার আশঙ্কা