Japan Typhoon: ধেয়ে আসছে ভয়ংকর শক্তিশালী টাইফুন, জারি বিশেষ সতর্কতা
সরকার ওই অঞ্চল থেকে ৩০ লাখ মানুষকে সরে যেতে বলেছে। কয়েক হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দারুণ শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে জাপানে। টাইফুনটির নাম দেওয়া হয়েছে নানমাডল। জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। আজ, রবিবার জাপানের সরকার ওই অঞ্চল থেকে ৩০ লাখ মানুষকে সরে যেতে বলেছে। কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতর দক্ষিণাঞ্চলের কিউশু দ্বীপের কাগোশিমা অঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। জানা গিয়েছে, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস হিসেবে কয়েক দশকের মধ্যে এই ধরনের সতর্কতা দেওয়া হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় টাইফুন নামে পরিচিত। কাগোশিমা অঞ্চলের প্রায় তিরিশ হাজার ঘরবাড়ি ও সন্নিহিত মিয়াজাকি অঞ্চল বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেদেশের স্থানীয় পরিবহণ সংস্থা বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ট্রেন, ফ্লাইট ও ফেরি চলাচল বাতিল করা হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করে এমনও বলেছে, ঝোড়ো বাতাস ও মৌসুমি বৃষ্টির কারণে কাগোশিমা অঞ্চল এর আগে কখনও এই ধরনের আশঙ্কার মধ্যে পড়েনি।
আরও পড়ুন: Iran: মাহসা আমিনির পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ইরানে, সমালোচনার ঝড়...
জাপানের আবহাওয়া দফতর-এর পূর্বাভাসবিষয়ক বিভাগের প্রধান রিউটো কুরোরা শনিবার বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি খুবই বিপজ্জনক। এটি প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কুরোরা বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, হাওয়া এত জোরে বইছে যে, বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হতে পারে। জাপান সরকারের অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, কিউশু এলাকার ২৯ লাখ অধিবাসীকে সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি হয়েছে। কাগোশিমার কর্মকর্তারা বলছেন, ৮৫০০ মানুষকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ওই অঞ্চলে বুলেট ট্রেন চলাচল স্থগিত হয়েছে। সাধারণ ট্রেন চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। কাগোশিমার আঞ্চলিক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, বৃষ্টি ও হাওয়া জোরে বইছে। বৃষ্টি এত বেশি যে, বাইরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। রবিবার সকাল ন'টা নাগাদ জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল ৮০ কিলোমিটার। কিউশুতে ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানে এখন ঘূর্ণিঝড়ের আবহাওয়া চলছে। জাপানে এ বছর ৫০টি ঝড় হয়েছে। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শতাধিক মানুষ মারা যায় বলে জানিয়েছিল জাপান। এর এক বছর আগে আর এক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওসাকার কানসাই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১৪ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে বন্যা ও ভূমিধসে জাপানে ২০০ জনেরও বেশি জন মারা গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জাপানে ঘূর্ণিঝড়, দাবদাহ, খরা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা ইদানীং ক্রমশ বেড়েছে।