কোনও পুরুষ নন, করাচিতে বালোচ জঙ্গিদের রুখে দিলেন এই পাক মহিলা পুলিসকর্মী
সুহাইয়ের বাবা আজিজ তালপুর জানিয়েছেন, `মেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না করানোয় আত্মীয়রা আমাকে একঘরে করে দেন। কিন্তু মেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: করাচিতে চিনা দূতাবাসে জঙ্গিহামলা রুখে সংবাদ শিরোনামে পাকিস্তানের এক মহিলা পুলিস আধিকারিক। শুক্রবার সকালে দূতাবাসের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বালোচ জঙ্গিরা। তখনই তাদের পথ রুখে দাঁড়ান সুহাই আজিজ। মূলত তাঁর বুদ্ধিমত্তাতেই বাঁচে চিনা কূটনীতিকদের প্রাণ। যদিও ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ২ পাক নিরাপত্তারক্ষীর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের তান্দো মহম্মদ খান জেলার ভাই খান তালপুর গ্রামের বাসিন্দা সুহাই। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিসে যোগ দেন তিনি। যদিও বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ায় ছোটবেলাতেই সুহাইকে পরিত্যাগ করেছিলেন তাঁর পরিজনরা।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সুহাই জানিয়েছেন, 'ছোটবেলায় বাবা-মা আমাকে স্কুলে ভর্তি করায় পরিজনরা গঞ্জনা দিতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় গ্রাম ছেড়ে কাছের শহরে চলে যেতে হয় আমাদের।'
করাচিতে চিনা দূতাবাসে হামলার চেষ্টা, গুলির লড়াইয়ে হত ২ নিরাপত্তারক্ষী
সুহাইয়ের বাবা আজিজ তালপুর জানিয়েছেন, 'মেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না করানোয় আত্মীয়রা আমাকে একঘরে করে দেন। কিন্তু মেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম।'
শুক্রবার সকালের হামলায় বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিরা দূতাবাসের কর্মীদের পণবন্দি করার মতলবে এসেছিল বলে দাবি তাদের। কারণ জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে খাবার, ওষুধ ও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র।