নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিল অস্মিতার বিরোধ পেরিয়ে ইসলামিক মৌলবাদের থাবা শ্রীলঙ্কায়? যীশুর পুনরুজ্জীবনের দিনে একের পর এক বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন কলম্বো। আর এই সব ঘটনার মধ্যেই ঘুরে ফিরে আসছে একটি সংগঠনের নাম NTJ বা ন্যাশনাল  ত্বহিদ জামাত। যার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ভারত এবং সেই তামিলনাড়ুর নাম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নজরে NTJ, আঁতুরঘর তামিলনাড়ু 


১৬ মে ২০০৪। তামিলনাড়ুতে জন্ম ত্বহিদ জামাতের। ভারত, শ্রীলঙ্কা সহ এখন সতেরোটি দেশে যার কাজ কারবার।  গত বছরই চেন্নাইয়ে এক মার্কিন নাগরিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে এখনও কী করে এই সংগঠন এই দেশে বহাল তবিয়তে? 


 



লঙ্কাতেও বিতর্কে


শ্রীলঙ্কায়ও এই সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। বছর দুয়েক আগে বৌদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে কুমন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ত্বহিদ জামাত বা SNTJ-এর  সম্পাদক আবদুল রেজ্জাককে। গত বছর বৌদ্ধ স্থাপত্যেও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। লঙ্কায় সাত শতাংশের কিছু বেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। অধিকাংশই সুন্নি। ভাষাগত, জাতিগত বিদ্বেষের ইতিহাস শ্রীলঙ্কায় পুরোনো। কিন্তু ধর্মীয় গুঁতোগুঁতির ইস্যু সে দেশে খুব একটা ছিল না। সে কারণেই তামিলনাড়ু ত্বহিদ জামাতের উগ্রপন্থী নেতা PJ বা পি জয়নুল আবেদিনের যখন শ্রীলঙ্কায় আসার কথা ছিল, তখন রাস্তায় নেমে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মুসলিমদেরই একাংশ। 



ফের বিস্ফোরণে কাঁপল কলম্বো, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০৭, দেশজুড়ে জারি হাই অ্যালার্ট


সিরিয়া ফেরত জিহাদি? 


হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। NTJ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন, শ্রীলঙ্কার ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর মেহমুদ লেব্বে আলিমও। অথচ দিন দশেক আগেই শ্রীলঙ্কার পুলিস প্রধান সম্ভাব্য জঙ্গি হানার সতর্কতা দিয়েছিলেন। নাম নিয়েছিলেন NTJ-র।  শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাসেও আত্মঘাতী হানার আশঙ্কা করেছিলেন পুলিস প্রধান পুজুথ জয়সুন্দর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সিরিয়া ফেরত্‍ জিহাদিরা ভিড় করেছে ওই সংগঠনে। যে দুই আত্মঘাতী জঙ্গিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাদের নাম জহরান হাসিম এবং আবু মহম্মদ। LTTE ছাড়িয়ে এখন ইসলামিক উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে।