ওয়েব ডেস্ক: অল্পবিস্তর বোলতা, মৌমাছির কামড় আমরা প্রত্যেকেই খেয়েছি। বাড়ির চারপাশে প্রায়ই এদের চাক দেখা যায়। আর চাকের কাছাকাছি যদি একবার ভুল করেও গিয়ে পড়েছেন, তাহলে আর রক্ষে নেই। দায়িত্ব নিয়ে আপনার নতুন মেকওভার করে দেবে ওরাই। বোলতার চাক কোনও ব্যক্তি নিডের ইচ্ছায় চাষ করেন না। কিন্তু মৌমাছির চাষ হয়। অনেকেই এর মাধ্যমে মধু বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই শুধু ফার্মেই নয়, অনেকে বাড়িতেও মৌমাছির চাষ করেন। মৌমাছির চাষ বেশ বিপজ্জনক একটি জীবিকা। কোনওভাবে যদি মৌমাছিরা বুঝতে পারে যে তাদের চাকে হামলা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে তারা হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হুল ফুটিয়ে শত্রুকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। মৌমাছির এরকম কামড় তো অনেকেই খেয়েছেন। কিন্তু এটা কি জানেন মৌমাছির কামড়ের ফলে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জীবন বিপন্নও হয়ে যেতে পারে? জানেন কী থাকে মৌমাছির হুলে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুল ফোটানোর পর মৌমাছি যখন উড়ে পালানোর চেষ্টা করে তখন সেই হুল, সাথের বিষগ্রন্থি বা ‘পয়জন গ্ল্যান্ড’, আর মৌমাছির পরিপাকতন্ত্র বা ‘ডাইজেস্টিভ সিস্টেম’-এর কিছু অংশ, ছিঁড়ে আলাদা হয়ে গিয়ে আমাদের শরীরে থেকে যায়। এই ছিঁড়ে যাওয়ার পরেও ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত পয়জন গ্ল্যান্ড থেকে বিষ ক্রমাগত আমাদের শরীরে ঢুকতে থাকে।


মৌমাছির হুলের বিষের মাত্রা এতটাই থাকে যে, হুল ফোটানোর পর বেশ কয়েকদিন তার ক্রিয়া চলতে থাকে। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে যদি অনেকগুলি মৌমাছি কোনও ব্যক্তিকে হুল ফোটায়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে জীবন সংশয়ও দেখা দিতে পারে। পুর্নবয়ষ্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৌমাছির কামড় সহ্যনীয় হলেও, শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই অসতর্কতায় মৌমাছি হুল ফোটালে কখনও অবহেলা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‌সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।