নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাময়িকভাবে স্থগিত করল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে আরও জোরালো হল শ্রীলঙ্কার সাংবিধানিক সঙ্কট। আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ বহাল থাকবে। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ৪,৫ এবং ৬ তারিখে পরবর্তী শুনানি হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হঠাতই পার্লামেন্ট ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা। পাশাপাশি জানুয়ারিতে ভোট করার ঘোষণা করেন তিনি। রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের ইউনাইটে ন্যাশনাল পার্টি-সহ অন্যান্য বিরোধী দল। সিরিসেনা তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, পার্লামেন্ট চালু হলে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আস্থাভোট নিয়ে অস্থিরতা শুরু হতে পারে। নির্বাচনের পথেই সংবিধানিক সঙ্কট মিটতে পারে। তবে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মাহিন্দা রাজাপক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়া এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিরিসেনা।


আরও পড়ুন- মায়ানমারে ফেরত যেতে চাইলে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের


গত মাসে রনিল  বিক্রমাসিঙ্ঘকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে রাতারাতি বরখাস্ত করেন সিরিসেনা। পাশাপাশি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপক্ষকে সেই পদে বসিয়ে তুমুল বিতর্কে মুখে পড়েন সিরিসেনা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে অস্বীকার করেন বিক্রমাসিঙ্ঘ। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত অসংবিধানিক। পার্লামেন্টে আস্থাভোটের দাবি তোলেন তিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সংসদ ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাসপেন্ড করে দেন সিরিসেনা। তবে এর মধ্যে মাহিন্দা রাজাপক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি। উল্লেখ্য, ২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কার সংসদে ১০৬টি আসন রয়েছে বিক্রমাসিঙ্ঘের। সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে মাত্র ৭টি কম। অন্যদিকে মোট ৯৫টি আসন রয়েছে সিরিসেনা ও রাজাপক্ষের ঝুলিতে।