Lars Vilks: পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল নবীর ব্যঙ্গচিত্র এঁকে তোলপাড় ফেলে দেওয়া কার্টুনশিল্পীর
২০০৭ সালের কার্টুন-বিতর্কের পর থেকেই পুলিসি নিরাপত্তা পেতেন ভিকস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁর জীবন বিপন্ন ছিলই। ছিল মৌলবাদীদের শাসানি। প্রাণনাশের হুমকি। ফলে সঙ্গে থাকত পুলিসও। কিন্তু তবু আকস্মিক মৃত্যু এসে প্রাণ কেড়ে নিল কার্টুনশিল্পীর।
রবিবার সুইডেনের মার্কইয়ার্ড শহরের এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একদা নবীর ব্যঙ্গচিত্র এঁকে শিরোনামে উঠে আসা সুইডেনের ৭৫ বছর বয়সী কার্টুনশিল্পী লার্স ভিকসের। তাঁর এই মৃত্যুকে কোনও কোনও মহল রহস্যজনক আখ্যা দিচ্ছে।
২০০৭ সালে ইসলাম ধর্মগুরু নবীর একটি ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছিলেন ভিকস যেখানে নবীর শরীরের অংশটি যেন এক চতুস্পদ প্রাণীর (অনেকটা কুকুরের) মতো দেখানো হয়েছিল। এর পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে নাম উঠে আসে এই শিল্পীর। ওই ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পর পথদুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু তাই রহস্য বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই।
২০০৭ সালে এই বিতর্কে তাঁর নাম জড়ানোর পর থেকেই পুলিসি নিরাপত্তা পেতেন ভিকস। সেই মতো পুলিসের গাড়ি করেই ঘটনার দিন গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় একটি ট্রাকের সঙ্গে ভিকসের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভিকস। মৃত্যু হয় তাঁর সঙ্গে থাকা দুই পুলিসকর্মীরও। জানা গিয়েছে, দু'টি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। আহত ট্রাকচালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুইডিশ পুলিসের পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে-- অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা। আপাতত তদন্ত করে দেখতে হবে-- ঠিক কী ঘটেছিল যেজন্য সংঘর্ষটি হল। দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে তদন্ত চালিয়ে যদিও সন্দেহজনক তেমন কিছু উঠে আসেনি পুলিসের হাতে।
২০০৭ সালে ওই কার্টুনচিত্র আঁকার পর থেকেই ভিকসের বাড়িতে একাধিকবার বোমা-গুলির হামলা হয়। তাঁকে খুন করার নানা চক্রান্তও হয়েছে, তবে তা ব্যর্থ করেছে পুলিস। ২০১৫ সালে সলমান রুশদির উপর ইরানি ফতোয়ার ২৫ বছর উদযাপনের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ডেনমার্কে। ভিকস সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ওই কার্টুন তাঁর দেশের জন্য নানা কূটনৈতিক সঙ্কট তৈরি করেছিল। এজন্য সে সময়ে তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকও করতে হয়েছিল।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: World Teachers' Day 2021: সমাজের প্রতি শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন