জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এবং সাংসদ দুল্লাস আলাহাপেরুমার পাশাপাশি, জনতা বিমুক্তি পেরামুনে (জেভিপি) নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংসদ এই তিনজনকে মনোনীত করার পরে বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা মঙ্গলবার তার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্রীলঙ্কার বামপন্থী জেভিপি বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে একজন তরুণ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। গত মাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে, ৫৩ বছর বয়সী দিসানায়েকে দাবি করেন তাঁর দল শ্রীলঙ্কাকে বর্তমান সংকট থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বের করতে প্রস্তুত।


তিনি বলেন, ছয় মাসের মধ্যে, তারা অর্থনৈতিক সংকটের প্রাথমিক কারণগুলি সংশোধন করে দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবেন। তারপরে একটি সাধারণ নির্বাচন করে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি নতুন সরকার নিয়োগ করা সম্ভব।


২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে জেভিপি-র নেতা নির্বাচিত হন দিসানায়েক। তিনি ২০০০ সাল থেকে সংসদে রয়েছেন।


রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার সময়, দিসানায়েকে ২০০৪ সালে কৃষি, পশুসম্পদ ও ভূমি মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।


তিনি ২০১৯ সালে ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (NPP) দলের প্রার্থী হিসাবে রাষ্ট্রপতি পদে অংশ নেন এবং ৪,১৮,৫৫৩ ভোট পান। এই ভোট নির্বাচনে বৈধ ভোটের ৩.১৬ শতাংশ ছিল। 


আরও পড়ুন: Germany: দাবদাহ এবার জার্মানিতেও, চালু হয়েছে 'হিট এড' প্রকল্প


১৯৭০ এর দশকের শুরুর সময়, উত্তর কোরিয়া জেভিপি কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে সমর্থন করে। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০১৭ সালে, শ্রীলঙ্কা সরকার উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে জেভিপি। ডিসানায়েকে সমালোচনা করে বলেন উত্তর কোরিয়া একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ এবং শ্রীলঙ্কার একে সমর্থন করা উচিত।


সকলের চোখ এখন ২০ জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে রয়েছে। এই নির্বাচনের পরে ২০২৩ সালের সম্ভাব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটাবে বলে আশা করছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)