আর ভুল পদক্ষেপ নয়, বহু দিন ধরে থাকবে এই ভাইরাস, আশঙ্কা WHO-র
তেদ্রস বলেন, `সেই ৩০ জানুয়ারিতেই করোনাভাইরাসকে গ্লোবাল এমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল জাতিসংঘ। এমন পরিস্থিতির জন্য তৈরি হওয়ার কথা অনেক আগেই জানানো হয়েছিল।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাস মোকাবিলার সবে প্রথম ধাপে বেশিরভাগ দেশ। আরও অনেক লম্বা সময় বিশ্বকে লড়াই করতে হবে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেইসাস।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ এবং হু-কে দুষছেন ট্রাম্পের মতো বিশ্বনেতারা। হু-কে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার কথাও ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। তার পরিপ্রেক্ষিতে তেদ্রস বলেন, "সেই ৩০ জানুয়ারিতেই করোনাভাইরাসকে গ্লোবাল এমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল জাতিসংঘ। এমন পরিস্থিতির জন্য তৈরি হওয়ার কথা অনেক আগেই জানানো হয়েছিল।"
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তিনি বলেন, "অনেক দেশ প্রথমে ভেবেছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা গিয়েছে।" আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি লঘু করার ফলে সেই দেশগুলিতে পুনরায় মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে সংক্রমণ। আগামী মাসের শুরু থেকেই আংশিক লকডাউন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জেনেভা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তেদ্রস জানালেন, পশ্চিম ইউরোপের অবস্থা এখন আগের তুলনায় ভাল। কমেছে নতুন করে সংক্রমনের ঘটনা। উল্টো দিকে, পূর্ব ইউরোপে এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমনের ঘটনা। শুধু তাই নয় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, "বহু আগেই আমরা বিশ্বমারী ঘোষণা করে দিয়েছিলাম।" হু-এর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার উত্তরে এদিন তেদ্রস বলেন, "কয়েকদিন আগের পরিস্থিতির দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে যে আমরা সঠিক সময়ে দেশগুলিকে সাবধান করেছিলাম।" তিনি জানান, রাষ্ট্রগুলির হাতে এমন অবস্থার জন্য প্রস্তুত হতে যথেষ্ট সময় ছিল।
কখন স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? কখন তার নিজস্ব ছন্দে ফিরবে বিশ্ব? এর উত্তরে অবশ্য কোনো আশার আলো দেখাতে পারলেন না হু প্রধান। "কোন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে থাকবেন না। আমাদের সঙ্গে এই ভাইরাস অনেকটা লম্বা সময় কাটাবে," স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।
কায়দা করে করোনাকে জব্দ করেছে ভিয়েতনাম, গোটা দেশে কেউ প্রাণ হারায়নি