সেলিম রেজা, ঢাকা: ঝটিকা সফরে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তাঁর সফরে রাজনীতি, অর্থনীতি ও শ্রমবাজার ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে আগেই শোনা গিয়েছিল। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর বিমান ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস। এই সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Dhaka Ramkrishna Mission: বদলের বাংলাদেশে অশান্তির জের? রামকৃষ্ণ মিশনে বন্ধ কুমারী পুজো...


ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রথম শীর্ষ নেতা হিসেবে ঢাকা সফরে এসেছেন। জানা যায়, আনোয়ার ইব্রাহিমের পুরোনো বন্ধু ড. ইউনূস। বন্ধুর আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম ঘোষণা করেন প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া হবে।


এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একমত প্রকাশ করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে।’ দেশটির শ্রমবাজার নিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মালোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার বাঙালি নেয়া হবে।’


আরও পড়ুন- Darjeeling: টানা ৪০ ঘণ্টা বৃষ্টি, নদীর স্রোতে ভাঙল সেতু, জলে নেমেই রক্ষা করতে মরিয়া স্থানীয়রা...


এ সময় ড. মহম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমার পুরনো বন্ধু এবং বাংলাদেশের পুরনো বন্ধু আসায় আমি খুবই খুশি। এরপর আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এটা প্রথম কোনো সরকার প্রধানের বাংলাদেশ সফর।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’
 
চতুর্থ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।


আরও পড়ুন- Govinda: বয়ানে অসঙ্গতি গোবিন্দার! জারি তদন্ত, হাসপাতাল থেকে বেরতেই চোখে জল মেয়ে টিনার...


বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ড. ইউনূসকে দ্রুত অভিনন্দন জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বন্ধু ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি।মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় সরকারি সফরে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক যুগের বেশি সময় পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার দেশটি সফর করেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)