মালে: মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বর্তমান বিরোধী দলনেতা মহম্মদ নাসিদকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হল আমেরিকা ও ভারত। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয়  মহম্মদ নাসিদকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাসিদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, " মলদ্বীপের সংবিধান ও আইন বিষয়ে সরকার এবং বিরোধীদের নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। সরকারের উচিত  মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করা '।


দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সহকারি সম্পাদিকা (আমেরিকা) নিশা বিসওয়াল বলেন, " সরকার সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে তাঁর সিদ্ধান্ত নেবে। রাষ্ট্রের আইনি স্বাধীনতা যেমন থাকবে তেমনি থাকবে  বিরোধীদের শান্তিপূর্ন প্রতিবাদের অধিকার। '


আমেরিকা সহ ভারতের এমন মন্তব্যের পর মলদ্বীপের বর্তমান সরকার নড়েচড়ে বসেছে।  নাসিদের গ্রেফতারির পেছনে কোনও রকম রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই, এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গায়ুম সরকারের মুখপাত্র। "আইনের পথেই সবটা হচ্ছে। এই বিষয়টি মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা ১৯৬৫ সাল থেকে স্বাধীন। ',মন্তব্য মলদ্বীপ সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম মুয়ায আলি।    


'মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি', নাসিদের গ্রেফতারির পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্তই দেখছেন। অনেকে মনে করছেন বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার জন্যই নাসিদকে গ্রেফতার করেছে বর্তমান সরকার।  


প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদের ওপর পুলিসি বর্বরতার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন দলীয় সমর্থক, নেতা-কর্মিরা। এমনকি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে মলদ্বীপের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান  ইয়ামিন আব্দুল গায়ুম সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক কার্জকলাপেরও অভিযোগ উঠেছে।