জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুলিসের হেফাজতে থেকেও রেহাই নেই। ধর্ম অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত এক যুবককে নির্মম সাজা দিল জনতা। ধর্মীয় কারণে হিংসার আরও একটি ঘটনায় তোলপাড় পূর্ব পাকিস্তান। ২০২১ সালে এক  পোশাক তৈরির কারখানায় এক শ্রীলঙ্কার নাগরিককে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল দেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সোমবার থেকে নামবে পারদ, শীতের বিদায় কবে জানিয়ে দিল হওয়া অফিস


শনিবার নানকানা সাহিবে ঘটছে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা। কোরান অবমাননার দায়ে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ ওয়ারিস নামে বছর কুড়ির ওই যুবককে। তাকে হেফাজতে নেয় পুলিস। কিন্তু তাতেও কমেনি মানুষেক রোষ। নানকানা সাহিবের ওই থানায় ঢুকে পড়ে উন্মত্ত জনতা। থানায় ঢুকে লকআপ ভেঙে তারা ওয়ারিশকে রাস্তায় বের করে আনে। তারপর তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারে। পুলিস টুঁ শব্দটুকুও করতে পারেনি।


পুলিসের মুখপাত্র মহম্মদ ওয়াকাস সংবাদসংস্থাকে জানান, ঘটনার সময় থানায় খু ব কম পুলিস কর্মী ছিলেন। ফলে উন্মত্ত জনতাকে কোনও বাধা দিতে পারেনি পুলিস। পরে অতিরিক্ত পুলিস এনে শেষপর্য়ন্ত দেহটিকে জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গ জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হচ্ছে ওই যুবককে। তারপর তাকে রাস্তায় ফেলে লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়। 


উল্লেখ্য, ধর্ম অবমাননার জন্য কড়া শাস্তি রয়েছে পাক সংবিধানে। এই অভিয়োগ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে দোষীকে। ২০২১ সালে ধর্ম অবমাননাকারী এক শ্রীলঙ্কার নাগরিককে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এর প্রভাব পড়েছিল বিশ্বেও। সেই ঘটনায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় পাক আদালত। নানকানা সাহিবের ঘটনায় খোদ প্রধানমন্ত্রী দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)