নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-কে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক বাংলাদেশি যুবকের। নাইমুর রহমান নামে ওই যুবককে সাজা শুনিয়েছে ব্রিটেনের আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। ২১ বছর বয়সী ও বাংলাদেশি - ব্রিটিশ যুবক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-কে তাঁর ডাউনিং স্ট্রিটের দফতরে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সব কিছু লন্ডভন্ড করে ছুরি ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তার। 


উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা নাইমুরকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল লন্ডনের ওল্ড বেইলে আদালত। শুক্রবার তাকে সাজা শোনান বিচারক। ব্রিটেনের আইন অনুসারে ৩০ বছর জেলে থাকতে হবে নাইমুরকে। 


ব্রিটেনের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দফতরের জাতীয় সমন্বয়ক ডিন হেইডন জানিয়েছেন, 'নাইমুরের লক্ষ্য ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এমনকী তাঁকে হত্যা করতে দরকারে তাঁর দফতরের সামনে থাকা সাধারণ মানুষকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল সে।'


ডিন জানিয়েছেন, 'প্রধানমন্ত্রী হত্যা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনাও ছিল তার।'


তদন্তকারীদের দাবি,'অনলাইনে আইএস জঙ্গির ভেক ধরে নাইমুর চিহ্নিত করেন তাঁরা। ব্রিটেনের MI5 ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI-এর গোয়েন্দারা একযোগে নাইমুরের সামনে অনলাইনে নিজেদের আইএস জঙ্গি বলে দাবি করেন। এর পরই তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে থেরেসা মে-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা শুরু করে ওই যুবক।'


গত নভেম্বরে বোমা দেওয়ার নাম করে নাইমুরের সঙ্গে দেখা করেন এক গোয়েন্দা আধিকারিক। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এ নাম লিখিয়েছে নাইমুরের কাকা। সেই তাকে ব্রিটেনে হামলা চালানোর জন্য উসকানি দেয়। জানা গিয়েছে, ২ বছর ধরে ব্রিটেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল ওই বাংলাদেশি। এর মধ্যেই সিরিয়ায় ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তার কাকার। 


গত বছর ব্রিটেনে ৪টি ভয়াবহ হামলা চালায় ইসলামি জঙ্গিরা। এর পর থেকে সেদেশে ১২টি ইসলামি হামলার ছক বানচাল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন MI5 প্রধান।