ওয়েব ডেস্ক: বাড়িতে একা একা তো বহু মানুষই থাকেন। কাজের ক্ষেত্রে অনেককেই বাড়িতে একা থাকতে হয়। কিংবা অনেক কারণেই অনেক মানুষ বাড়িতে দিনের পর দিন একা থাকেন। কিন্তু তা বলে একটা গোটা গ্রামে একা থাকা! এমনটা কি সম্ভব? এই অসাধ্যই সম্ভব করে দেখিয়েছেন এক ব্যক্তি। টানা ১০টা বছর একটা গ্রামে একা কাটিয়ে ফেলেছেন সেই ব্যক্তি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চিনের জুয়েনসানসে গ্রামের জনসংখ্যা ১জন। গত ১০ বছর ধরে লিউ সেনজিয়া নামের এই ব্যক্তি একাই রয়েছেন গ্রামে। ১০ বছর আগে এই গ্রামের ছবিটা কিন্তু এমন ছিল না। তখন ওই গ্রামে অনের মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ্র ঘাটতি হওয়ার জন্য ক্রমশ গ্রাম ছেড়ে সবাই চলে যেতে থাকে। বয়স্ক যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁরা মারা যান। ২০০৬ সাল থেকে শয্যাশায়ী মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে একা গ্রামে থাকতে শুরু করেন লিউ। এক বছরের মধ্যে তাঁর মা এবং ভাইও মারা যান। তখন থেকে গ্রামে একেবারে একা বসবাস করছেন তিনি।



এত বছর ধরে একা থাকতে থাকতে একাকীত্বই লিউয়ের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। তিনি শিখে গিয়েছেন কীভাবে একা বেঁচে থাকতে হয়। ভেড়া প্রতিপালন করা শুরু করেন। কীভাবে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন, আর কীভাবেই বা বেঁচে রয়েছেন, সেই বিষয় লিউ জানিয়েছেন যে, প্রথম প্রথম গোটা গ্রামে একা থাকতে তাঁর খুবই কষ্ট হত। অনেকদিন তিনি ঘুমোতে পারেননি। রাতে যখন হিংস্র কুকুরের ডাক শুনতেন, ভয় তিনি দুচোখের পাতা এক করতে পারতেন না। সঙ্গী হিসেবে ভেড়া প্রতিপালন শুরু করেন। ওই ভেড়াগুলো ছাড়া তাঁর আর কোনও সঙ্গী নেই। এভাবেই দিনের পর দিন একা থাকতে থাকতে ক্রমশ এই পরিস্থিতির সঙ্গেই একাত্ম হয়ে গিয়েছেন।



স্থানীয় বনবিভাগে বন পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন লিউ। সারা মাস কাজ করে মাত্র ১০৭ ডলার রোজগার করেন তিনি। খাবার এবং জল সংগ্রহের জন্য তাঁকে অনেক দূরে যেতে হয়। কিন্তু কীভাবে এত কষ্ট করে বেঁচে রয়েছেন তিনি? তাঁর কি ওই গ্রাম ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না? এই প্রশ্ন কারয় লিউ জানালেন, কষ্টকর ওই পরিবেশে তাঁর থাকতে কোনও অসুবিধা হয় না। তিনিও মাঝে মাঝে চান গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু এত বছর গ্রামে থাকার পর গ্রামের প্রতি তাঁর একটা মায়া পড়ে গিয়েছে। তাই ভাবলেও গ্রাম ছেড়ে তাঁর আর যাওয়া হয় না।