ওয়েব ডেস্ক: এ যেন জাদুর ছোঁয়ায় সত্যিই যাদুঘর প্রমাণ হল। ম্যাঞ্চেস্টার যাদুঘর তাদের যাদুঘরের একটি ভ্রাম্যমাণ সংস্করণ তৈরি করেছে! যাদুঘরে প্রদর্শিত জিনিসপত্র স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেবার এক অভিনব উদ্যোগ হিসাবে বায়ু দিয়ে ফোলানো যাদুঘরের একটা সংস্করণ তারা তৈরি করেছে। যাদুঘরে দর্শক যাওয়ার বদলে দর্শকদের দরজায় যাদুঘরকে পৌঁছে দেওয়াটাই তাঁদের উদ্দেশ্য। ম্যাঞ্চেস্টার যাদুঘর বলছে তাদের যাদুঘর এতই জনপ্রিয় যে গতবছর দর্শনার্থীর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের বেশি। গত বছর এই যাদুঘর দেখেছে সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। বায়ু দিয়ে ফুলিয়ে তৈরি এই যাদুঘর নিয়ে যাওয়া হবে দরিদ্র এলাকাতেও।


ম্যাঞ্চেস্টারের জনৈক শিক্ষিকা বলেছেন, 'আসল যাদুঘরটি বিশাল এবং জিনিসে ঠাসা, অনেক ছেলেমেয়েই তাই যাদুঘরে যেতে চায় না- তারা মনে করে গোটা ব্যাপারটা নীরস এবং বোরিং। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় বাতাস দিয়ে ফোলানো এমন এক যাদুঘর যা আবার বাতাস বের করে দিয়ে গুটিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাতে কী থাকতে পারে সেটাও ছোট ছেলেমেয়েদের কৌতূহলী করে তুলতে পারে।" এই ভ্রাম্যমাণ যাদুঘর ফুলিয়ে প্রস্তুত করতে সময় লাগবে মাত্র তিরিশ মিনিট। প্রসঙ্গত, মূল যাদুঘরটি চালু হয়েছিল ১৮৯০ সালে এবং এটি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ।