ওয়েব ডেস্ক: সারা বিশ্ব এখন জঙ্গিহানায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি ব্রাসেলসে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হল, তার ভয়াবহতার ছাপ এখনও সকলের চোখে রয়েছে। কেউ জানে না কখন কোথায় আবার এরকম ভয়ঙ্কর জঙ্গিহানা হতে চলেছে। কিন্তু কীভাবে মানুষের মধ্যে এভাবে ছড়িয়ে পড়ছে জঙ্গি মনোভাব? এই জঙ্গি মনোভাবের পিছনে কি কোনওভাবে নেশার কোনও হাত রয়েছে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গাঁজা বা মারিজুয়ানা। খুব কম বয়স থেকেই এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বর্তমান যুবসমাজ। প্রধাণত যে সময়টায় কেরিয়ারে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন, সেই সময় তারা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের ভবিষ্যত্‌। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভবিষ্যত্‌ প্রজন্ম।


সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের জীবনে কোনও লক্ষ্য নেই, তাঁরাই এই ধরণের নেশার সঙ্গে বেশি জড়িয়ে পড়ছেন। এই মারিজুয়ানা জাতীয় নেশার দ্রব্য প্রধাণত ১৮ থেকে ৩৮ বছরের মানুষই বেশি ব্যবহার করেন। এর ব্যবহার নিউজিল্যান্ডে খুব বেশি পরিমানে দেখা যায়। মদের থেকেও বেশি ক্ষতিকর এই মারিজুয়ানা বা গাঁজা।
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, এই নেশাজাত দ্রব্যের প্রভাবের ফলেই সমাজে এত হানাহানি দেখা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে কোনও অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও যাঁরা এই নেশায় আসক্ত তাঁরা নেশা করা চালিয়ে গিয়েছেন। এই নেশা এমনই, যা একবার ধরলে ছাড়া যায় না। এর ফলে শুধুই সামাজিক হানাহানি নয়, দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যাও। এমনকি সম্পর্কের মধ্যে দেখা দিচ্ছে জটিলতা।


বেশি পরিমানে গাঁজা বা মারিজুয়ানা ব্যবহার করলে দেখা দিতে পারে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা। খাওয়ায় অনিচ্ছা, অনিদ্রা, সঠিক মানসিক বিকাশ না হওয়া, অল্পতেই রেগে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাওয়া প্রভৃতি শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। চিকিত্‌সাশাস্ত্রে এর প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হল কাউন্সিলিং এবং ধৈর্য। দীর্ধদিন ধরে চেষ্টা করলে তবেই মারিজুয়ানার নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।