নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ষপূর্তি। তার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কাটা-ছেঁড়া। বাদ যাননি দেশের প্রথম মহিলা মেলেনিয়া ট্রাম্পও। মেলেনিয়া সম্পর্কে অনেকে বলছেন, গত একবছরে বড্ড বেশি আড়ালেই থেকেছেন তিনি। আর এর কারণেই আমেরিকাবাসীর কাছে মেলানিয়া হয়ে উঠেছেন রহস্যময়ী, বলে মত তাঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'আমেরিকা ফার্স্ট'- এই নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে মরিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জন্য না-পসন্দ দেশগুলিকে 'নোংরা' বলতেও আপত্তি নেই তাঁর। কিন্তু মার্কিন রাজনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, 'আমেরিকা প্রথম' বার্তা দিয়ে ট্রাম্প যেভাবে অন্যান্য দেশগুলিকে অপমান করছেন, সেখানে দেশের 'প্রথম মহিলাই তাঁর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন না। তাঁদের মতে, মেলানিয়া ট্রাম্প তাঁর আচার-আচরণে মার্কিন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। দীর্ঘদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকেও তাঁর মাতৃভূমি স্লোভেনিয়ার সংস্কৃতি বয়ে নিয়ে চলছেন খোদ হোয়াইট হাউসে। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' মন্তব্যে মেলানিয়াকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন সমালোচকরা।



আরও পড়ুন- ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ট্রাম্প বললেন "আমি জাতিবিদ্বেষী নই"


মার্কিন দেশের প্রথম মহিলা হওয়ার আগেও বর্ণময় চরিত্রের জন্য সবসময় লাইমলাইটে ছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। ওহায়ও ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্যাথারিন জেলিসন জানান,"মেলানিয়ার বর্ণময় চরিত্রের জন্য আমেরিকাবাসীর কাছে এনিগমা হয়ে রয়েছেন তিনি।" স্লোভেনিয়ায় বেড়ে ওঠা, প্যারিসে ফ্যাশন মডেল হিসাবে কর্মজীবন এরপর ১৯৯৬-তে নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প মডেলিং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কাজ করা-এসবই তাঁকে আরও বর্ণময় করে তুলেছে। ২০০১-এ গ্রিন কার্ড পান মেলানিয়া। ২০০৫ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিয়ে করে পরের বছর মার্কিন নাগরিকত্ব পান তিনি। মেলানিয়ার বর্ণময় চরিত্রের জন্যই প্রথম মার্কিন মহিলাদের মধ্যে তিনি অনন্যা।


কেন অনন্যা?


আরও পড়ুন- জাপানি 'যৌন শিক্ষিকা'র বিয়ের খবর শুনেই মন ভেঙেছে চিনের


মেলানিয়া 'প্রথম মার্কিন মহিলা' যাঁকে মডেল হিসাবে নগ্ন ফোটোশ্যুটে দেখা গিয়েছে। মার্কিন নাগরিক হয়েও ইংরেজি তাঁর কাছে দ্বিতীয় ভাষা। এমনকী ২০০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম বিদেশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী।



মেলানিয়ার পোশাক-পরিচ্ছদেও স্বতন্ত্র ভাবনা রয়্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মেলানিয়াকে দেখা গিয়েছে ইউরোপিয় কায়দার পোশাকে। এমনকী বেশ কিছু মার্কিন ডিজাইনারও মেলানিয়ার পোশাক তৈরিতে নিমরাজি ছিলেন। মেলানিয়া দেশের 'প্রথম নাগরিক' হওয়ার পর ফরাসি ডিজাইনার হার্ভ পেরিকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ছেলে ব্যারনের দেখভালের জন্য ট্রাম্প টাওয়ারে বেশি স্বছন্দ মনে করেন মেলানিয়া। তাই, শরণার্থী রুখতে ট্রাম্পের কড়া পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে মেলানিয়াকেই হাতিয়ার করছেন বিরোধীরা।


আরও পড়ুন- 'সেক্সোম্যানিয়াক'! ঘুমের ঘোরে কয়েকশোবার ধর্ষণ করায় অভিযুক্ত তরুণ