Melting Himalayan Ice: হিমবাহের মধ্যে ৪০০০০ বছরেরও বেশি পুরনো হাজার হাজার ভাইরাস! ভয়াবহ রোগ? মহামারী?
Melting Himalayan Ice: বিশ্ব জুড়ে দ্রুত গলছে হিমবাহ। হিমালয়েও তো রয়েছে বহু হিমবাহ। জানা গিয়েছে, হিমবাহে জমে থাকা বরফেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ংকর বিপদ। কী বিপদ?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব জুড়ে দ্রুত গলছে হিমবাহগুলি। হিমালয়ের কোলেও রয়েছে এই রকম বহু হিমবাহ। সেগুলিও গলছে। গলে তৈরি হচ্ছে বিপুল জলভার। হিমবাহ গলে নামছে ধস। আর ওই সব জল পাহাড়ি নদীর মধ্যে দিয়ে নেমে এসে ঘটায় বন্যা, ফ্ল্যাশফ্লাড। আর তার চেয়েও বড় ও ভয়ংকর যেটা ঘটতে পারে, সেটা হল ক্রমশ নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং তার থেকে প্লাবন। তখন ডুববে নগর-গ্রাম-জনপদ।
আরও পড়ুন: Namibia: খরায় না খেতে পেয়ে মরছে মানুষ! তাই কেটে ফেলা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক হাতি, জিরাফ...
কিন্তু এ বিপদের কথা তো এতদিনে আমরা সবাই জেনে গেছি। এ তো আর তত নতুন কথা নয়। তাহলে নতুন করে কেন বিপদের কথার আলোচনা? আলোচনা কারণ, সত্যিই নতুন আর একটি বিপদ উঁকি দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, হিমবাহে জমে থাকা বরফেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ংকর এক অন্য বিপদ। লুকিয়ে আছে হাজার হাজার প্রাচীন ভাইরাস! এর কয়েকটি তো প্রায় ৪১,০০০ বছরেরও পুরনো!
উত্তর-পশ্চিম তিব্বত মালভূমিতে গুলিয়া হিমবাহ থেকে বরফের কোর সংগ্রহ করেছিল চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ জন গবেষকের এক দল। সেই বরফের নমুনাগুলি থেকেই ১৭০০টিরও বেশি ভাইরাল জিনোম পাওয়া গিয়েছে। যেগুলির অধিকাংশ সম্পর্কেই বিজ্ঞানীদের এর আগে কিছু জানা ছিল না। 'নেচার জিওসায়েন্স' জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,০০০ মিটার উপরে অবস্থিত ওই হিমবাহটিতে যুগে যুগে এই সব ভাইরাস সংরক্ষিত হয়েছে। অন্তত ন'টি আলাদা আলাদা প্রাচীন যুগ থেকে এসেছে এই সব ভাইরাস।
গবেষকরা জানিয়েছেন, হিমবাহগুলি গলে এই সব ভাইরাস যদি পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে এবং করোনার মতো মহামারি সষ্টি করতে পারে। আগামী দিনে এগুলি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আরও তন্নিষ্ঠ গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই গবেষণায় জলবায়ু-পরিস্থিতির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় ভাইরাসগুলির মধ্যেও কী পরিবর্তন ঘটেছে তাও পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই অর্জিত জ্ঞানও এ সংক্রান্ত নতুন গবেষণায় আগামীদিনে কাজ হবে।