নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭ সেন্টিমিটার লম্বা, হাতের চেটোয় ধরে যাবে এমন আকার। ছোট্ট টেকিলা স্প্লিটফিন দূষণ ও অন্য প্রজাতির মাছের কারণে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চেস্টার চিড়িয়াখানার একদল প্রাণিবিশেষজ্ঞ এবং মেক্সিকোর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রয়াসে ফিরে এল সেই মাছ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী ভাবে ফিরল মাছটি? 


মাছটির নাম টেকিলা স্প্লিটফিন। দুদশক ধরে এক নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে মেক্সিকোর আগ্নেয়গিরির পাশে টিউচিটল্যান্ডের এক এলাকায়। মাছটির বিলুপ্তির পিছনে দূষণ এবং মানুষের গতিবিধির পরিসর বেড়ে যাওয়া যেমন একটি কারণ, তেমনই, অন্য প্রজাতির মাছের ব্যাপকহারে এটিকে খেয়ে ফেলাও একটি কারণ। এই জোড়া ফলার আক্রমণে টেকিলা ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যায়। 


মেক্সিকোর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষেরা মাছটিকে 'ছোট মোরগ' বলে ডাকত। পরে তাঁরা দেখেন ধীরে ধীরে মাছটি কমে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের চেস্টার চিড়িয়াখানার প্রাণিবিদ, ইউরোপীয় একদল বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তাঁরা মেক্সিকোয় এসে মাছটিকে বাঁচাবার সিদ্ধান্ত নেন। 


তাঁরা প্রজননেনর জন্য মাছের খোঁজ করতে শুরু করেন। মিলেও যায়। সেই মাছগুলি নিয়েই প্রজনন-প্রকল্প শুরু হয়। এই ভাবে ২০১২ সালে ৪৯ জোড়া টেকিলা একটি জলাশয়ে রাখা হয়। যা দুবছরে ১০ হাজার হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার মাছকে পরিবেশে ছেড়েও দেওয়া হয়। দেখা হচ্ছে, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে তারা বেঁচে থাকতে পারে কিনা। 


পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও বার্তা দেওয়ার কাজও শুরু হয়। তাঁরা যাতে এই মাছ কম খান বা শিকার কম করেন, তা বলা হয় তাঁদের। সব থেকে বড় কথা, এই মাছ ডেঙ্গু ছড়াতে বাধা দেয়। অন্য বেশ কিছু রোগের সংক্রমণ থেকেও মানুষকে বাঁচায়।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Dinosaur Footprints: ২০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ!