Middle East: দাবদাহ থেকে মৃত্যু ক্রমশ বাড়বে! তাপপ্রবাহ কি আগামিদিনে আরও নির্মম হবে?
Extreme Heat Waves in Middle East: গ্রীষ্মের দাবদাহে সকলেই ব্যতিব্যস্ত। গরম এখন সব দেশেরই সংকট। মধ্যপ্রাচ্যও গরমের তীব্রতার জন্য খ্যাত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক। সেদেশও গরমের ঝাপটায় অস্থির। ইরাকে তাপমাত্রা কখনও কখনও ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যায়! এই অবস্থায় কী ভাবে বাঁচেন সে দেশের মানুষ?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গরম এখন সব দেশেরই সংকট। গ্রীষ্মের দাবদাহে সকলেই ব্যতিব্যস্ত। মধ্যপ্রাচ্যও গরমের তীব্রতার জন্য খ্যাত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক। সেদেশেও গরমের ঝাপটায় অস্থির মানুষ। ইরাকে তাপমাত্রা কখনও কখনও ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যায়! এই অবস্থায় কী ভাবে বাঁচেন এ দেশের মানুষ ? কী করে চালিয়ে যান দৈনন্দিন কাজকর্ম, চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্য?
আরও পড়ুন: Ukraine: ভয়াবহ! বিপুল জলরাশি হাঁ করে গিলে নিচ্ছে গোটা দেশ; প্লাবনের অন্য নাম কাখোভকা...
উত্তরটা লুকিয়ে এদের জীবনযাপনের মধ্যেই। ইরাকের সাধারণ মানুষ জানান, তাঁরা টিভি চ্যানেল থেকে আবহাওয়ার খবরটা আগেই পেয়ে যান। মানসিক প্রস্তুতি থাকেই। তাপমাত্রা বাড়লে মানুষ ঘর থেকে খুব একটা বেরন না। মূলত ঘরেই থাকেন। অত্যধিক গরম পড়লে পশু-পাখিদেরও কষ্ট হয়। পাখি বা অন্য প্রাণীদের জন্য গাছের নীচে জল রেখে আসেন তাঁরা। মোট কথা, তীব্র দাবদাহের সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বাঁচার কৌশল নিজে নিজেই শিখে নেন ইরাকের মানুষ।
কিন্তু হঠাৎ কেন মধ্যপ্রাচ্যের গ্রীষ্ম নিয়ে আলোচনা? মে মাসে প্রকাশিত সায়েন্স জার্নাল 'নেচার সাসটেইনেবিলিটি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশের চেয়েও বেশি বাড়বে। আর তার জেরে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে!
আবার এপ্রিলেই ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল 'ল্যানসেট' আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ব্যাপক হারে বাড়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের কী অবস্থা হতে পারে, তা নিয়ে একটা সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, তীব্র দাবদাহের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মৃত্যুহার অনেক বাড়বে। এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে দাবদাহজনিত রোগে ভুগে প্রতি এক হাজারে দু'জনের মৃত্যু হয়। এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২৩-য়ে! আশঙ্কা করা হয়েছে, দাবদাহ বাড়তে থাকলে এই শতকের শেষে শুধু ইরাকেই মারা যেতে পারে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ!
'ল্যানসেটে'র সমীক্ষায় আরও আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমবে না। তবে দাবদাহের কারণে মৃত্যুর ৮০ শতাংশই ঘটতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে। বড় বিপর্যয় এড়াতে হলে গ্লোবাল টেম্পারেচার বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।