নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্যাংস্টারদের মতো আচরণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কিম প্রশাসনের এমন অভিযোগ খারিজ করে দিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। পালটা পম্পেও-র মন্তব্য, “যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্যাংস্টার হয়, তা হলে গোটা বিশ্ব গ্যাংস্টার। কারণ, রাষ্ট্রসংঘে সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় সব দেশ।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত নওয়াজ শরিফ, ১০ বছরের কারাদণ্ড


কী সেই সিদ্ধান্ত? উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করার লক্ষ্য। সে জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের বৈঠক যে সদর্থক হয়নি, তা ট্রাম্পের পরপর হুঁশিয়ারি টুইটে বোঝা গিয়েছে। তবে, পিয়ংইয়্যাং-এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে শনিবার মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, “ইস্যু ভীষণ জটিল। বেশকিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হয়েছে, যে বিষয়গুলি নিয়ে সমাধান করা যায়নি, তা পরবর্তীকালে আলোচনা সাপেক্ষ।” এরপর জাপান সফরে গিয়ে পম্পেয় আরও একধাপ এগিয়ে পিয়ংইয়্যাং-র গ্যাংস্টার অভিযোগ খারিজ করেন পম্পেও। তিনি বলেন, “যতক্ষণ না কিম পুরোপুরি অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করছে, তাদের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।”


আরও পড়ুন- বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় তিন নম্বরে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ


সিঙ্গাপুর বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উঁচু গলায় কিমের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন, তা কয়েকদিনের মধ্যেই ‘মোহভঙ্গ’ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তাঁর দাবি, কিম এখন পরমাণু উতপাদন জারি রেখেছেন। এরপর তাদের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবলেও, ট্রাম্প সরে আসেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে।


আরও পড়ুন-  ভারতীয় ছাত্র খুনে আততায়ীর খোঁজে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা কানসাস পুলিসের


পম্পেও-র সঙ্গে বৈঠক শেষে পিয়ংইয়্যাং তরফে জানানো হয়, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফা সিদ্ধান্ত যেন গ্যাংস্টারের মতো আচরণ! মনে হচ্ছে আমাদের ধৈর্য্য, সদভাব বুঝতে পারছে না আমেরিকা।”