Mini Ice Age: আসছে তুষার যুগ! ফের পুরু বরফে ঢাকবে গোটা পৃথিবী, সমুদ্রে ডুববে কলকাতা...
Mini Ice Age: মানবসভ্যতার শেষ? বন্ধ হবে সমুদ্রস্রোত? তুষারযুগে ঢাকবে পৃথিবী? কবে এই বিপর্যয়? এই শেষের সেদিনের খুব বেশি দেরি নেই বলেই জানা গিয়েছে। কারণ, আবহাওয়ার ভয়ংকর বদল, জলবায়ুর অকল্পনীয় পরিবর্তন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানবসভ্যতার শেষ? বন্ধ হবে সমুদ্রস্রোত? তুষারযুগে ঢাকবে পৃথিবী? কবে এই বিপর্যয়? এই শেষের সেদিনের খুব বেশি দেরি নেই বলেই জানা গিয়েছে। কারণ, আবহাওয়ার ভয়ংকর বদল, জলবায়ুর অকল্পনীয় পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: Abu Dhabi's First Hindu Temple: ২০ হাজার টন পাথর দিয়ে ৫ বছর ধরে তৈরি হল আবুধাবির প্রথম মন্দির...
বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করছেন। কিন্তু না দেশ, না মানুষ-- কোনও পক্ষই কিছু শুনছে না। তবে এবার ধীরে ধীরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবগুলি ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর এই প্রভাবের মধ্যে সবথেকে অশুভ বিষয় হল হিমবাহগুলির দ্রুত গলে যাওয়া। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবে ব্যাপকভাবে গলে যাচ্ছে সারা পৃথিবীর সমস্ত হিমবাহ।
'নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে' প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, অতি দ্রুত হারে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে আগামী বছর ২০২৫ সালের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে গাল্ফ স্ট্রিম বা উপসাগরীয় সমুদ্রস্রোত। আর এই স্রোত বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হল, উত্তর গোলার্ধের একটা বড় অংশে নেমে আসবে তুষার যুগ।
গাল্ফ স্ট্রিম বা উপসাগরীয় সমুদ্রস্রোত তৈরি হয় পশ্চিম উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে। মেক্সিকো উপসাগর থেকে এই উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত উত্তরে বহন করে আনে উষ্ণ নোনা জল। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকাগুলি থেকে উচ্চ অক্ষাংশের শীতল এলাকাগুলিতে তাপ বয়ে আনে এই স্রোত। উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের জলবায়ুর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে এই স্রোতের। এই উষ্ণ জল একটি প্রাকৃতিক তাপ পরিবাহী বেল্ট হিসেবে কাজ করে। আনার পথে যে এলাকাগুলি পড়ে সেখানকার আবহাওয়াকেও প্রভাবিত করে এই স্রোত। এই স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গোলার্ধের বিস্তীর্ণ অংশে নেমে আসবে ভয়ংকর শীত।
উপসাগরীয় স্রোতে কোনও বৈপরীত্য এলে উত্তর আমেরিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের কিছু অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা কয়েক দশকের মধ্যে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা কমবে-- প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। আর এর ফলে বিশ্ব জুড়ে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি। ঘটতে পারে অতি বৃষ্টি বা কম বৃষ্টির মতো ঘটনাও। উত্তর আমেরিকায় কোনও কোনও অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বিশ্বের যে-যে শহর ডুববে প্রকাশিত হয়েছে সেই তালিকাও। আর সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতার নামও।
বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন যদি না কমানো যায়, তবে ২০২৫ থেকে ২০৯৫ সালের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে উপসাগরীয় স্রোত। তবে, বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৫০ সালের বেশি সময় পাওয়া যাবে না। গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার ডিটলেভসেন। তিনি বলেছেন, খুবই চিন্তার বিষয়, কেননা, ১২ হাজার বছর ধরে এই স্রোত কখনও বন্ধ হয়নি! এটা অত্যন্ত বড় মাপের পরিবর্তন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: Human Footprints in Morocco: সবচেয়ে পুরনো মানবপদচিহ্ন? ১ লক্ষ বছরের প্রাচীন হিউম্যান ফুটপ্রিন্টস...
এই স্রোত যদি বন্ধ হয়ে যায় বা এর গতি ধীর হয়ে যায়, তাহলে মানবসভ্যতা এক চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হবে। ভেঙে পড়বে কৃষি-পরিকাঠামো, অবনতি ঘটবে জনস্বাস্থ্যের। মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়।