ওয়েব ডেস্ক: ট্র্যাজেডি অফ এররস! এছাড়া আর কী বলবেন! দীর্ঘ দিন ধরেই সন্তান হচ্ছে না মিসিসিপির এক দম্পতির। নানান রকম চিকিত্‍সা হয়েছে, তবুও সন্তান সুখ দিতে পারেননি কোনও ডাক্তারই। অবশেষে বাধ্য হয়ে আইভিএফ পদ্ধতির শরণ নিল ওই দম্পতি। আর সেখানেই সামনে এল ভয়ঙ্কর রূঢ় বাস্তব। বাস্তব না সিনেমা! নাহ্, সিনেমাও এতটা দেখাতে ভরসা পায়না সচরাচর। আইভিএফের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার যখন ডিএনএ পরীক্ষা করে জানালেন, এই দম্পতি আসলে সহোদর এবং যমজ, তখন হতভম্ব স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। ডাক্তারের নিজেরও চমক কাটছে না, আর যে শুনছে তাঁরই চক্ষু চড়কগাছ। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ এই দম্পতি তথা জন্মসূত্রে যমজ ভাইবোনের শৈশবে পথ দুর্ঘটনায় গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় তাঁদের বাবা-মার। অনাথ দুই শিশুকে পরবর্তী কালে দত্তক নেয় দুটি আলাদা পরিবার। দু'পক্ষের দত্তক বাবা-মা তাঁদের দত্তক নেওয়া সন্তানকে জানাতে চাননি নিজেদের জন্মবৃত্তান্ত। দুই পরিবারে আলাদাভাবে বড় হতে থাকে ভাই ও বোন। স্কুলের পাঠ শেষ করে দুজনেই কলেজে পৌঁছয়। ঘটনাচক্রে একই কলেজে ভর্তি হয় দু'জনই। উভয়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও পছন্দের 'অস্বাভাবিক' মিলই তাঁদের কাছে নিয়ে আসে, তৈরি হয় ভাললাগা যা অচিরেই ভালবাসার সরণীতে ঢুকে পড়ে। লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে ঢুকতেই তাঁরা ঠিক করেন এবার একসঙ্গে থাকতেই হবে, অর্থাত্‍ শুভ পরিণয়। আর তারপরই সন্তান লাভের ইচ্ছা। কিন্তু কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই আইভিএফ এবং চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জানা, তাঁরা যমজ তাই চিকিত্‍সা বিজ্ঞান অনুযায়ী তাঁরা সন্তান উত্‍পাদনে অক্ষম।



সত্য জানতে পেরে যার পর নাই বিব্রত স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। এই চরম অস্বস্তির মধ্যেই আবার মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো আইনি ভয়। কারণ, মিসিসিপিতে ভাই-বোনের বিবাহ আইনত দণ্ডনীয়। সেদেশে এই অপরাধে সাধারণত ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০০ মার্কিন ডলার জরিমানা হয়ে থাকে। তবে মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনাটি ষেহেতু সত্যিই 'অসাধারণ', তাই হয়ত রেহাই মিলতে পারে যুবক-যুবতী দুজনেরই। তবে দম্পতির গোপনীয়তা বজায় রাখতেই তাঁদের এবং ওই ডাক্তারের নাম প্রকাশ করা হয়নি।



গোটা ঘটনায় অন্যতম তাত্‍পর্য যুগিয়েছে আইভিএফের দায়িত্বে থাকা ডাক্তারের মন্তব্য। তিনি জানিয়েছেন, একজন বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ হিসাবে আমার কাজ রোগীকে সন্তান ধারণে সক্ষম করে তোলা বা সাহায্য করা। অর্থাত্‍ আমার সাফল্য মাপা হয়, আমি কটি শিশুকে সফলভাবে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে পারি তার মাধ্যমে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথমবার একটি শিশুকে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েও আমার আনন্দ হচ্ছে। সত্যি, একেই বোধ হয় বলে ভ্রান্তি বিভ্রাট!


আরও পড়ুন- চলে গেলেন 'তিন শতকের সাক্ষী' এমা মোরানো!