নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদী খুবই ভাল মানুষ, কিন্তু তাতে আমেরিকার কোনও লাভ দেখছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের 'চড়া' বাইক আমদানি শুল্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে মার্কিন আইন প্রণেতাদের মাঝে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে একই বিষয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মোদী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল ট্রাম্পকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানত হার্লে ডেভিডসন মোটরবাইকের উপর ভারত সরকারের 'চড়া আমদানির শুল্কে'র কারণেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এদিন নরেন্দ্র মোদীর শরীরি ভাষা অনুকরণ করে (যেভাবে মোদী হাত জোড় করে 'নমস্তে' বলেন) ট্রাম্প বলেন, "আমি যখন এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলি, তিনি বলেন শুল্কের হার কমিয়ে ৫০% করে দেওয়া হবে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেসব কিছুই হল না। তিনি সম্ভবত মনে করছেন যে এতে আমাদের অনুগ্রহ করা হবে। কিন্তু আদতে তা নয়।"


ট্রাম্পের কথা অনুযায়ী মোদী তাঁকে বলেছিলেন, আগের আমলে আমদানি শুল্ক ৭৫ শতাংশেরও বেশি ছিল। কিন্তু মোদী সরকারই তা কমিয়ে ৭৫ শতাংশ করেছে। এটাকেও কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে বলে নাকি কথা দিয়েছিলেন মোদী। মোদীর এই প্রতিশ্রুতিকেই এদিন বিধেঁছেন ট্রাম্প। বিদ্রুপ করে তিনি বলেন, "কি বলি বলুন তো! আমার কি এই কথা শুনে রোমাঞ্চিত হওয়া উচিত!"


আরও পড়ুন- বাড়িতে ২ স্ত্রী, বেতন বাড়ানোর দাবি করলেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট


প্রসঙ্গত, নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই 'আমেরিকা ফার্স্ট'-এর কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমেরিকার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে যে তিনি কোনও রকম আপস করবেন না সেই বার্তাও বহুবার এসেছে ওভাল অফিস থেকে। পাশাপাশি, ভারতের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বার্তাকে নরমে গরমে চলার নীতি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।