হামবুর্গে মোদী-জিনপিং সাক্ষাতে কি কমবে সীমান্তের উত্তেজনা, প্রশ্ন কূটনৈতিক মহলে
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই জার্মানিতে ব্রিকস বৈঠকের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা হল নরেন্দ্র মোদীর। ডোকালা-র প্রসঙ্গ সামনে না এলেও শান্তিপূর্ণ উপায়ে আঞ্চলিক সংঘাত মেটানোর ওপর জোর দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। ব্রিকস দেশগুলির বৈঠকে নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক: সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই জার্মানিতে ব্রিকস বৈঠকের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা হল নরেন্দ্র মোদীর। ডোকালা-র প্রসঙ্গ সামনে না এলেও শান্তিপূর্ণ উপায়ে আঞ্চলিক সংঘাত মেটানোর ওপর জোর দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। ব্রিকস দেশগুলির বৈঠকে নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তে ডোকালায় তিন সপ্তাহের ওপর ভারতীয় ও চিনা সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। চিনের গণমুক্তি ফৌজ ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির চেষ্টা করায় বেড়েছে উত্তেজনা। দু-দেশের মধ্যে চলছে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এরই মধ্যে চমক এল জি-টুয়েন্টি বৈঠকের ফাঁকে ব্রিকস সম্মেলনে।
হামবুর্গে আলাদা কথা হবে না দুই রাষ্ট্রনেতার। বলেছিল বেজিং। কিন্তু, বাস্তবে তার উল্টোটাই হল। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে মোদী-জিনপিংয়ের আলাদা কথা হয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন। নানা বিষয়ে দুই নেতার কথা হয় বলে জানালেও ত্রিদেশীয় সীমান্ত সঙ্কট নিয়ে কথা হয়েছে কিনা তা অবশ্য জানাননি তিনি। সূত্রের খবর, দুই নেতার প্রায় পাঁচ মিনিট কথা হয়।
ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তে ডোকালায় চিনের দখলদারি নিয়ে সরব দিল্লি। একইভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব গোটা দুনিয়া। এ দিন ব্রিকস সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট
বলেন, আঞ্চলিক সংঘাত ও সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে ব্রিকস দেশগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য G-20 যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, দেখতে হবে তাও।
ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আর্থিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমনে জোর দেন। হামবুর্গে মোদী-জিনপিং সাক্ষাতের পর ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তে উত্তেজনা কতটা কমে এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। (আরও পড়ুন- BRICS বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক মোদীর )