নিজস্ব প্রতিবেদন:  সিঙ্গাপুরে কি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে? কিম জং উন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাতের মাঝেই কি যোগ দেবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন? এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে সিওলের এক বিবৃতিতে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কিম-ট্রাম্পের বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শান্তিতে নয় ক্ষমতা কায়েমে মত্ত মোদী, সমালোচনায় পারভেজ মুশারফ


১২ জুন সিঙ্গাপুর বৈঠক নিয়ে  ইতিমধ্যেই জোর প্রস্তুতি চলছে উত্তর কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। হোয়াইট হাউসের এক বিশেষ প্রতিনিধি দল পিয়ংইয়াং-এ গিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে এ কথা জানিয়ে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা রয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার। একদিন সে লক্ষ্যে তারা নিশ্চয় পৌঁছবে।”



আরও পড়ুন- হোক না বামন, বন্ধুত্বের উচ্চতা আকাশ ছোঁয়া


অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছিয়ে গিয়েছে উত্তর কোরিয়ার একটি দলও। তবে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে মুনের এমন আর্জি স্বভাবতই জল্পনা তৈরি করেছে কূটনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৈঠকে কিম কোনও হঠাত্ কোনও অসংযত আচারণ করে ফেললে তা সামাল দিতেই উপস্থিত থাকবেন মুন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কোরিয় যুদ্ধের সমাপ্তি করতেই তিনি এই বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্ত করতে চাইছেন।


প্রসঙ্গত, গতকাল পানমুনজমে গোপনে বৈঠক করেন দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। পরে এই বৈঠকের কথা সরকারিভাবে জানানা হলেও, সেখানে ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেনি সিওল। সিওলের বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও একবার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে কিমের প্রতিশ্রুতির কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- ট্রাম্প বৈঠক সফল করতে ফের সাক্ষাত দুই কোরিয়ার


উল্লেখ্য, কিম পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অসংযত মন্তব্যের জেরে বৈঠক বাতিলের পথে হাঁটেন ট্রাম্প। পাল্টা হুঁশিয়ারিও দেন, কিম যদি পরমাণু ক্ষমতার প্রদর্শন করেন, ভবিষ্যতে সে পথেও হাঁটতে প্রস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকের আগে দুই  রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে এমন চাপা উত্তেজনায়  বিপাকে পড়ে সিওলও।