নিজস্ব প্রতিবেদন : পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তালিকায় গত কয়েক সপ্তাহে প্রথমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় চিন, ইতালি, স্পেন ইত্যাদি দেশগুলিকে বহু আগেই ছাপিয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রাণ হারিয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর এই সংখ্যার পেছনে মার্কিন প্রশাসনের করোনাভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়া ও পরিকল্পনার অভাবকেই দায়ী করছেন সে দেশের বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে নিউ ইয়র্কেই করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার জন। মৃত ৯,৩৮৫। হাসপাতালে স্থানের অভাবে এখন তাঁবু করে রোগীদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি ব্যবহার করা হচ্ছে নৌসেনার ভাসমান হাসপাতালও। তা সত্ত্বেও এখনও করোনা সংক্রমণ হ্রাসের কোনও আশ্বাসই দিচ্ছে না পরিসংখ্যান। নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ছবিতে এখন শুধুই রাস্তাজুড়ে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ।


আরও পড়ুন- লকডাউনের মধ্যে মিকার সঙ্গে একই বাড়িতে বন্দি চাহাত খান্না? জোর গুঞ্জন বলিউড জুড়ে


অথচ মার্চের শুরুর দিকে এই করোনাভাইরাসকেই বেশ হালকাভাবে নিয়েছিলেন মার্ক কুওমো। তিনি দাবি করেছিলেন যে নিউ ইয়র্কের চিকিত্সাব্যবস্থা বিশ্বের সেরা। এমন পরিকাঠামোও বিশ্বের কোনও দেশে নেই। ফলে করোনা মোকাবিলা নিয়ে তিনি খুব একটা চিন্তিত নন। তাছাড়া নিউ ইয়র্ক শহরের লকডাউন নিয়েও বেশ কিছুদিন জলঘোলা হয়। অর্থনৈতিক প্রভাবের কথা মাথায় রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু রাজ্য সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও উদ্যোগ দেখায়নি। তার ফলেই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতেই বেশ কিছুটা দেরি করে ফেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ততক্ষণে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালগুলিতে চরম পর্যায়ে পৌঁছতে শুরু করে দেয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা।