নিজস্ব প্রতিবেদন : শর্ত-সাপেক্ষে ভোটে লড়ার অনুমতি পেতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। পাক সুপ্রিম কোর্ট এমনই নির্দেশ দিল। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলায় শুনানি রয়েছে ১৩ই জুন। সেই রায়ের ওপর নির্ভর করেই মুশারফের নির্বাচনে লড়াইয়ের ভবিষ্যত্। ২০০৭ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট মুশারফ পাকিস্তানে জরুরি ব্যবস্থা জারি করেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালে সেই মামলার রায়ে মুশারফকে ভোটে দাঁড়ানোর থেকে আজীবন নির্বাসনে পাঠায় পাক হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলার তদন্তে স্বঘোষিত দোষী হিসাবে মুশারফকে ঘোষণা করে রাওয়ালপিন্ডির এক বিশেষ আদালত। তবে তিনি শুরু থেকেই তদন্তে গোয়েন্দাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ। এই অসহযোগিতার জন্য দেশে ফিরলেই মুশারফকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে খবর ছড়ায়। এদিকে, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশে ফেরেন মুশারফ।


আরও পড়ুন- কিমের কাকুতি-মিনতিতে মন গলেছে ট্রাম্পের, দাবি মার্কিন কর্তার


এদিকে, চলতি বছর পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে তার আগে গত নভেম্বরে কমপক্ষে ২ ডজন দল নিয়ে একটি মহাজোট তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুশারফ। ওই জোটের মধ্যে মুশারফের নিজের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ ছাড়াও রয়েছে সুন্নি তেহরিক, মজলিস-ই-ওয়াহাতুল মুসলেমিন, পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক-এর মতো দল। সেই জটে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা পাওয়া হাফিস সইদের দল জামাত-উদ-দাওয়াকে চেয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন মুশারফ।


এই পরিস্থিতিতে এবার শর্ত-স্বাপেক্ষে মুশারফকে নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুমতি দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। সেদেশের প্রধান বিচারপতি মিয়ান শাকিব নিসার বলেন, ১৩ই জুন সাব্যস্ত হবে ২০০৭-এ মুশারফের জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল। তারপরই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ ঠিক হবে। তবে, তার আগে তিনি নিজের মনোনয়নপত্র জমা করতেই পারেন।