Myanmar Firing in School: ছয় শিশুর মৃত্যু! হঠাৎ স্কুলে কেন গুলি চালাতে গেল সেনা?
Myanmar Firing in School: `কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি` এবং `পিপলস ডিফেন্স ফোর্স` বা `পিডিএফ` ওই মঠে লুকিয়ে ছিল বলে খবর ছিল মায়ানমার সেনার কাছে। `কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি` এবং `পিপলস ডিফেন্স ফোর্স` গ্রামটিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র পাঠাত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছয় স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যু ঘটেছে, অন্ততপক্ষে সতেরোজন শিশু আহত হয়েছে। মায়ানমারের একটি স্কুলে গুলি চালাল সেই দেশের মিলিটারি। কিন্তু হঠাৎ নিজের দেশের স্কুলে কেন গুলি চালাল মায়ানমার মিলিটারি? মায়ানমার মিলিটারির দাবি, ওই স্কুলভবনটিকে ব্যবহার করে বিদ্রোহীরা নানা হামলার ছক কষছিল। তাদের দমন করার জন্যই এই আক্রমণ। কী ঘটেছে মায়ানমারে? হেলিকপ্টার থেকে এক গ্রামীণ স্কুলের উপর গুলি চালাল মায়ানমার সেনা। ঘটনায় কমপক্ষে ছ'জন শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম হয়েছে আরও ১৭ জন। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের শুরুর দিকেই মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। তারপর থেকে মায়ানমারে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেই চলেছে। চলছে সন্ত্রাসবাদীদের দমন-অপারেশন। সেই সন্ত্রাসবাদী-দমন অভিযানের অংশ হিসেবেই স্কুলে গুলি চালাল মায়ানমার সেনাবাহিনী। আর তাদের গুলিতে প্রাণ গেল শিশুদের।
মায়ানমার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামে অবস্থিত বৌদ্ধ মঠে স্কুলটি বসত। সেই স্কুলে বিদ্রোহীরা আস্তানা গেড়েছে, এমন খবর ছিল মিলিটারির কাছে। আরও জানা গিয়েছিল, মায়ানমারের সেনার উপর আক্রমণ করারই ছক কষছিল তারা। যাতে তারা আক্রমণ হানার আগেই তাদের শেষ করে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্কুলটিতে গুলি চালায় মায়ানমার সামরিক বাহিনী। স্কুলবাড়িতে বুলেটের গর্ত এবং রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই আক্রমণের জেরে অনেক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিরাপত্তার কারণে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ওই ঘটনার পরে সামরিক বাহিনী শিশুদের মৃতদেহগুলি স্কুল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরের এক শহরে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তাদের কবর দেওয়া হয়।
সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি' নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং 'পিপলস ডিফেন্স ফোর্স' বা 'পিডিএফ' নামের সশস্ত্র গেরিলাদের এক শাখা-সংগঠন ওই মঠে লুকিয়ে ছিল বলে খবর ছিল তাদের কাছে। 'কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি' এবং 'পিপলস ডিফেন্স ফোর্স' গ্রামটিকে ব্যবহার করে অস্ত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করত। এই কারণেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় মায়ানমার সেনা।