Mysterious Activity in Human`s Brains: মানুষের মৃত্যুর পরেও থেকে যায় প্রাণ? এ কী বললেন বিজ্ঞানীরা!
Mysterious Activity Detected in the Brains of Dying People: শুধু ফিজিয়োলজি, কার্ডিওলজি বা নিউরোলজির জ্ঞান দিয়ে মস্তিষ্ক বা হৃদযন্ত্রকে পুরোপুরি বোঝা যায় না। আর ঠিক সেই কারণেই হৃদয় আর মস্তিষ্ক নিয়ে বরাবরই বিড়ম্বিত তামাম বিজ্ঞানীদল। এদুটিকে সম্যক বোঝা যায় না বলেই মৃত্যু নিয়েও রহস্য ঘন ও গভীর বিজ্ঞানীমনে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হৃদয় আর মস্তিষ্ক--এ নিয়ে বরাবরই বিড়ম্বিত বিজ্ঞানীদল। কেননা, শুধু ফিজিয়োলজি, কার্ডিওলজি, বা নিউরোলজির জ্ঞান দিয়ে মস্তিষ্ক বা হৃদযন্ত্রকে পুরোপুরি বোঝা যায় না। এই মুহূর্তে যেমন মস্তিষ্কের রহস্যোদ্ঘাটনে বেশি ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি মৃত্যু-উন্মুখ দুই রোগীর মস্তিষ্ক, বলা ভাল, এঁদের মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে এঁদের মস্তিষ্কের ঠিক কী অবস্থা, তা পর্যবেক্ষণ করে দেখার সুযোগ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা আসলে দেখতে চাইছেন, পাকাপাকি ভাবে নিজের দরজা বন্ধ করার ঠিক আগে মৃতের বা জীবন্মৃতের ব্রেন ঠিক কেমন আচরণ করে। আর সেটা দেখতে গিয়েই তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যে, জীবন্মৃত মানুষ যখন মরছে, তখন মৃত্যু-মুহূর্তের আগে-পরে গামা রশ্মি এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
চারজন রোগীকে নিয়ে তাঁরা এই পরীক্ষাটি করেছেন। এর আগে প্রাণীদের নিয়ে এরকম পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তখন জানা গিয়েছিল, ওই সময়ে মৃত প্রাণীর মস্তিষ্কে গামা রশ্মির স্ফুরণ ঘটে। তবে এই রোগীদের পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেল, এঁদের কার্ডিয়াক বা রেসপিরেটরি অ্যাটাক ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে একটা গামা রশ্মির অস্তিত্ব পর্যবেক্ষণ করা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়-নির্ভর এই বিজ্ঞানীদল ইলেকট্রোসেফালোগ্রাম বা যাকে আমরা ইইজি এবং ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম বা সহজে ইসিজি বলেই জানি, তার মাধ্যমে এই গামা রশ্মির বার্তা। ভেন্ট্রিলেটর সাপোর্ট দেওয়ার আগে ও পরে এই পরীক্ষাটা করা হয়েছে।