Mysterious Pulse: প্রায় ২০০ কোটি বছরের পুরনো বিচ্ছুরণ এসে পৌঁছল পৃথিবীতে...
Mysterious Pulse: এই স্পন্দন কোটি কোটি বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাবিশ্বে। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন, `জিআরবি ২২১০০৯এ`। উত্তর আকাশের ধনুরাশির দিক থেকে এটা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটা স্পন্দন, বা একটা তরঙ্গ। যা কোটি কোটি বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাবিশ্বে, মহাকাশে, মহাশূন্যে। মহাকাশবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছে, 'জিআরবি ২২১০০৯এ'। উত্তর আকাশের ধনুরাশির দিক থেকে এটা সৃষ্টি হয়েছে বলে বলছেন তাঁরা। তবে এখন হঠাৎ কেন এটা নিয়ে এত চর্চা? ৯ অক্টোবর এটা পৃথিবীকে স্পর্শ করেছে। আর তার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে এ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই তরঙ্গরাশি ব্ল্যাকহোল তৈরির সময় থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। প্রায় ১৯০ কোটি বছরের আগের মহাজাগতিক ঘটনা!
এই পালস বা স্পন্দন বা তরঙ্গ আলোর গতিবেগে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশ্বে এ পর্যন্ত যত বিস্ফোরণ ঘটেছে তার মধ্যে এই বিস্ফোরণটি অন্যতম শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিচ্ছুরণ তখনই জানা যাচ্ছে যখন তা মহাশূন্যকে ছেয়ে বয়ে গিয়েছে। এই বিচ্ছুরণটিকে ধরেছে নাসার 'ফার্মি গামা রে স্পেস টেলিস্কোপ'। নিল গেহরেলস সুইফ্ট অবজারভেটরি এবং উইন্ড স্পেসক্র্যাফ্ট এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে।
আরও পড়ুন: Aliens on Earth: আর রহস্য নয়! কয়েকমাস পরেই পৃথিবীতে নামছে এলিয়েনরা; জেনে নিন কবে...
১০ ঘণ্টার বিরতিতে এই বিচ্ছুরণের অস্তিত্ব অনুভূত হচ্ছে। খুবই ক্ষীণ এই বিচ্ছুরণ। যে-বিস্ফোরণ থেকে উৎপন্ন হয়েছে এই বিচ্ছুরণ তা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এটি ধ্বংসোন্মুখ ভয়ংকর ভারী এক তারার ভিতরে থেকে এটি সৃষ্টি হয়েছে এবং আলোর গতিবেগে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুখণণ্ডকে ভেদ করে তা ছুটে চলেছে। এবং চলতে চলতে এটি মহাশূন্যে এক্স-রে ও গামা-রে বিচ্ছুরিত করেছে।
নবলব্ধ এই বিচ্ছুরণ থেকে ব্ল্যাক হোল বিষয়ে অনেক নতুন জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।