জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গর্ত নিয়ে রহস্য ও সঙ্কট তৈরি হয়েছে। চিলির এক খনি অঞ্চলে পাওয়া এক গর্ত ঘিরে রহস্যের নানা পরত। লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির উত্তরাঞ্চলের খনি এলাকায় রহস্যময় এক গর্ত পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ২৫ মিটার বা ৮২ ফুট ব্যাসের ওই গর্ত চলতি সপ্তাহেই প্রথম দেখা গিয়েছে। গর্তটি দেখার পর চিলির কর্তৃপক্ষ গত সোমবার তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপর থেকে তোলা গর্তটির কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে চিলির সংবাদমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কানাডার লুনডিন মাইনিং নামের একটি তামার খনির জমিতে বিশালাকৃতির একটি গর্ত। চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে উত্তর দিকে প্রায় ৬৬৫ কিলোমিটার দূরের গর্তটি কর্তৃপক্ষের মনে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক'দিন আগে চিলির 'ন্যাশনাল সার্ভিস অব জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং' প্রথম গর্তটি দেখতে পায়। গর্ত দেখে ধন্দে পড়েন তাঁরা। গর্তটি দেখার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পক্ষ থেকে ওই এলাকায় একাধিক বিশেষজ্ঞ পাঠানো হয়। সংস্থাটির পরিচালক ডেভিড মন্টেনেগ্রো এক বিবৃতিতেই এসব জানিয়েছেন। বিবৃতিতে ডেভিড মন্টেনেগ্রো বলেছেন, গর্তটির গভীরতা ও আকার যথেষ্ট বড়। গভীরতা প্রায় ২০০ মিটার বা ৬৫৬ ফুট। গর্তের ভিতরে কোনো বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে অনেক জল রয়েছে।


সংস্থাটি জানিয়েছে, গর্তটির কাছে অবস্থিত আলকাপারোসা খনির প্রবেশদ্বার থেকে খনির ভেতরে যাওয়ার পথগুলি ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লুনডিন মাইনিং একটি বিবৃতিতে বলেছে, তাদের খনির জমিতে একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে তাতে শ্রমিক ও কর্মীদের তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গর্তটির সব থেকে কাছে থাকা বাড়ির দূরত্ব ৬০০ মিটারের বেশি। এ ছাড়া এর আশপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে জনবহুল এলাকা বা কোনো সরকারি অফিস নেই। যেখানে গর্তটি তৈরি হয়েছে, তার ৮০ শতাংশের মালিকানা কানাডীয় কোম্পানি লুনডিন মাইনিংয়ের। বাকিটার মালিকানা জাপানের এক কোম্পানির।


প্রসঙ্গত, এর বেশ কিছুদিন আগে একবার শোনা গিয়েছিল, নরকের দ্বার নাকি খুলে গিয়েছে! ঘটনাটি ঘটেছিল ক্যালিফোর্নিয়ায়। ক্যালিফোর্নিয়ার পূর্বে অবস্থিত নাপা ভ্যালিতে দেখা গিয়েছিল এই 'নরকের দ্বার'। সেখানে লেক বেরিয়েসা জলাধারের মাঝে এই নরকের দরজা চোখে পড়েছিল। ১৯৫০ সালেই নাকি এখানে এই দরজা প্রথম দেখা গিয়েছিল। সেই থেকেই জায়গাটিকে 'পোর্টাল টু হেল' বলে চিহ্নিত করা হয়। 


কিন্তু প্রকৃতই কি এটিই নরকের দ্বার?


না, কোনও যুক্তিগ্রাহ্য মনই এমন কথা মেনে নিতে পারে না। এক্ষেত্রে এটা রূপকার্থেই বলা। লেক বেরিয়েসার জলধারণ ক্ষমতা ৫২০ কোটি গ্যালন। এখানে জলের পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলেই তা ওই পোর্টাল টু হেল-এর মধ্যে ঢুকে পড়ে। তখন জলের উপরিস্তরে তৈরি হয় ভয়ানক ঘূর্ণি। বিশেষজ্ঞের মতে, যখন এই বাঁধ ও জলাধার তৈরি করা হয় তখনই অতিরিক্ত জলস্রোত নিয়ন্ত্রণ করতে কতগুলি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। পরে সেই সব সুড়ঙ্গই এই ধরনের গর্তে পরিণত হয়। যা প্রকারান্তরে নরকের দ্বার হিসেবে পরবর্তী কালে 'খ্যাত' হয়। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: নরকের দ্বার খুলে গিয়েছে! কোন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটতে চলেছে?