Nagorno-Karabakh Ceasefire: ৩২ মৃত্যু, ২০০ আহত! নাগরনো–কারাবাখে আপাতত যুদ্ধবিরতি...
Nagorno-Karabakh Ceasefire: ২৪ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। গোলাবর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন, আহত ২০০ জন। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭জন সাধারণ মানুষও আছেন, রয়েছে দুই শিশুও!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজারবাইজান আর্মেনিয়ার বিরোধ নতুন নয়, তাদের মধ্যে লড়াই সংঘর্ষও বহু কালের ব্যাপার। তবে ফের দুদেশের নতুন করে যুদ্ধ বেধেছে। এর জেরে ৩২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২০০ জন। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ জন সাধারণ মানুষও আছেন, রয়েছে দুই শিশুও! কিন্তু এই মৃত্যু আর বাড়তে দেওয়া চলে না। তাই তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হল। ঠিক হয়েছে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে বসা হবে আলোচনায়।
আরও পড়ুন: Donald Trump: 'আমার বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্প আর নেই!' পোস্ট ট্রাম্পপুত্রের!
গতকাল বুধবার আর্মেনিয়া জানিয়েছিল, নাগরনো–কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে ৩২ জন নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছেন। আর্মেনিয়ার এক মানবাধিকারকর্মী গতকালই জানিয়েছিলেন, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টা ধরে এ অভিযান চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। সেখানে গোলাবর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত, ২০০ জন আহত। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সাতজন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়াও রয়েছে দুই শিশু। তুরস্ক প্রকাশ্যে আজারবাইজানকে সমর্থন করে। এদিকে আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
৪৪০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত পাহাড়ি এলাকা নাগরনো-কারাবাখ। এখানে খ্রিস্টান আর্মেনীয় ও মুসলিম তুর্কিদের বসবাস। সোভিয়েত আমলে এটি আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ছিল। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকা আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে এখানকার বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী আর্মেনীয় আদিবাসী।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়। নিহত হয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ১৯৯০-এর দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী আজারবাইজানের কিছু এলাকা দখল করে। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুদেশের মধ্যে। তবে এর পরেও অচলাবস্থা রয়ে গিয়েছে এ অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: Alien Like Fossils Revealed: হাজার বছরের পুরনো এলিয়েনের কঙ্কালের ভিতরে ডিম কোথা থেকে এল!
এদিকে সাম্প্রতিক এই হামলার পরই আজারবাইজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেখানে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছনো গিয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।