নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশের মাটিতে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভুটান সরকারের গার্ড অফ অনার ও  সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ৫ বছর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভুটানে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার মধ্যরাতে ভুটানের উদ্দেশে রওনা দেন মোদী। ২ দিনের ভুটান সফরে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ভুটান মৈত্রী আরও শক্তিশালী করে তোলাই সফরের মূল উদ্দেশ্যে। শনিবার ভারতীয় সময়ে সকাল ১১টা নাগাদ ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছয় মোদীর বিমান। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এর পর বিশাল কনভয়ে করে পারো থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। 


পারো থেকে থিম্পু যাওয়ার রাস্তার দু'পাশে ছিল ভুটানের মোদী-অনুগামীদের ভিড়। ভারত ও ভুটানের পতাকা নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন শিশুরা। বিমানবন্দর থেকে মোদীর কনভয় বেরিয়ে আসতেই পতাকা নেড়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। 




রাজধানী থিম্পু পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছোঁয় দ্বিগুণ। মোদীকে একবার দেখার জন্য থিম্পুর হোটেলের রিসেপশনে অপেক্ষা করছিলেন এক দল প্রবাসী ভারতীয়। প্রধানমন্ত্রী হোটেলে প্রবেশ করতেই তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন তাঁরা। মোদীও নিরাশ করেননি তাঁদের। প্রত্যেকের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলালেন তিনি। হাতজোড় করে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁদের। 



এরপর ভুটানের রাজার সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাশিছোয়োডং রাজপ্রাসাদে যান। সেখানেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও রাজার সঙ্গে বৈঠকের পর সিমটোখা জং বৌদ্ধ মন্দিরে পুজো দেন তিনি। 


প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে অনড় মোদী সরকার। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা প্রয়োজন। তাই মোদীর ভুটান সফর আরও বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 


আরও পড়ুন- দেনাগ্রস্ত পাকিস্তানকে দেওয়া অর্থ সাহায্যের ৪৪০ মিলিয়ন ডলার ছাঁটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র