ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার রাশিয়ায় তাঁর পাক কাউন্টারপার্ট নওয়াজ শরিফের মুখোমুখি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জল্পনা চলছিল আগেই, আজ তাতেই শিলমোহর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। আজ টুইট করে এই দুই নেতার বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছেন।


ইতিমধ্যে, পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র কাজি খালিলুল্লাহ জানিয়েছেন এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।


''ভারতে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিল, পাকিস্তানে তাতে সম্মতি জানিয়েছে।'' মন্তব্য খালিলুল্লাহর।


গত বছর কাঠমাণ্ডুতে সার্ক সামিট চলাকালীন মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী ও শরিফ। কিন্তু সে খেপে, কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আসপাশ মাড়াননি দু'পক্ষই।


২০১৪ সালে ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীর শপথ গ্রহণের সময় শেষ বৈঠক হয় মোদী-শরিফের। কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে দু'পক্ষই উপহার বিনিময়ে মত্ত ছিলেন। মোদীর টুইটে দুই নিউক্লিয়ার শক্তিধারি বিবাদমান প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক উন্নতির বার্তাও সামনে আসে।


কিন্তু, বাস্তবে তার ঠিক উলটো ছবি স্পষ্ট হয়। সীমান্তে তীব্র হয় বিরোধ। দু'দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি ভঙ্গের অভিযোগ আনে বারবার। গত অগাস্টে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তান হাত মেলাতে এগিয়ে আসে। বিদেশ সচিবদের মধ্যে আলোচনার ডাক দেয় ক্ষুব্ধ নয়া দিল্লি।


আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে পাকিস্তান। সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে ঝোঁকে।


নয়া দিল্লির তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড জাকিউর রহমান লখভিকে মুক্তি দিয়ে বৈরিতা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে ইসলামাবাদের একটি আদালত।


আশা করা হচ্ছে, শুক্রবারের বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসবে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। লখভি প্রসঙ্গেও আলোচনার সম্ভাবনা প্রবল।


এরমধ্যে অবশ্য, সুসম্পর্ক বজায় তাগিদে শরিফকে ফোনে রামজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। ইয়েমেন থেকে দু'দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এক পরস্পরকে সাহায্য করেছে উভয়ই।