জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনেক বাধা পড়েছে, কিন্তু সব বাধা টপকে আবারও আর্টেমিস-১ লঞ্চ হতে চলেছে। ৩২২ ফুট বা ৯৮ মিটার দৈর্ঘের কোনও রকেটের এই ধরনের টেস্ট ফ্লাইট এই প্রথম অনুষ্ঠিত চলেছে। নাসার এই আর্টেমিস মিশনে যে জাতীয় রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে মেগা মুন রকেট। এই নিয়ে তৃতীয়বারের উৎক্ষেপণ-প্রচেষ্টা এটি। কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দু'ঘণ্টার এই লঞ্চিং আওয়ারে  অরিয়ন স্পেসক্র্যাফ্ট-সহ মহাকাশে উড়ে যাবে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Relaunching Artemis 1: ফের আর্টেমিস-১! নাসার দৃষ্টি আর শুধু চাঁদে নয়, মহাকাশের আরও গভীরে...


এই চন্দ্রাভিযান একটা ধাপ মাত্র। আর্টেমিস-১-এর সফল উৎক্ষেপণের জেরে আগামী দিনে নাসা চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও বড় আকারের পরিকল্পনা করবে। এর আগে যান্ত্রিক কারণে দুবারই বাতিল করতে হয়েছে এই অভিযান-উৎক্ষেপণ। একবার ইঞ্জিনে ত্রুটি, একবার হাইড্রোজেন গ্যাসের লিক হয়। কিন্তু এবার এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে যানটিকে কক্ষপথে ছেড়ে দেবে। ক্যাপসুলের মতো খুলে যাবে ঢাকনা। বেরিয়ে আসবে যানটি।    


গ্রিক পুরাণে আর্টেমিসের কাহিনি আছে। আর্টেমিস অ্যাপোলোর যমজ বোন। নাসা আগামি দিনে মঙ্গলে যে মিশন সফল করতে চায়, এ এক হিসেবে তারই মহড়া। চাঁদে মানুষকে পাঠানোই শুধু নয়, সেখান থকে তাঁদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনাও করেছে আর্টেমিস। এটি 'আনম্যানড' একটি রকেট আকাশে ওড়াবে। উৎক্ষিপ্ত হবে সে চাঁদের দিকে যাওয়ার জন্য। এ হেন একটি মহা পরিকল্পনার পিছনে যে মানুষটি রয়েছেন তিনি মাইক সারাফিন। আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার।  


আর্টেমিস ১


আর্টেমিস ১ মিশনে ওরিয়ন ক্রিউ ক্যাপসুল এবং একটি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটকে টেস্ট করা হবে। এটি পরীক্ষামূলক, ফলত 'আনম্যানড'। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এর পরে আছে আর্টেমিস ২। এর টার্গেট ২০২৪ সাল। অ্যাপোলো ৮ যেভাবে তার মিশন পূর্ণ করেছিল, এটাও তেমনই করবে। এই মিশনেও মানুষ থাকবে না। তবে আর্টেমিস ৩ মিশনে প্রথম মানুষ থাকবে। চাঁদের দক্ষিণে যেখানে জল বরফের আকারে জমে রয়েছে সেখানেই নাসার চন্দ্রযান প্রথম ল্যান্ড করবে বলে ঠিক হয়ে আছে। আর্টেমিস ৩-এর সম্ভাব্য সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল। 


মার্স মিশন 


কিন্তু আর্টেমিসের কাজ এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। মানুষ এবার মঙ্গলে যাবে। যেটাকে বলা হচ্ছে-- 'দ্য নেক্সট জায়ান্ট লিপ-- হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অফ মার্স'। এটাই আর্টেমিসের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আর্টেমিস মিশন থেকে যে তথ্য় অনুসন্ধান করতে পারবে নাসা, তা সে মঙ্গল মিশনে ব্যবহার করবে। 


কেন চাঁদ বা মঙ্গল নিয়ে এই লেগে পড়া? 


আসলে নাসা দেখে নিতে চাইছে, গভীর মহাকাশে কী ভাবে টিকে থাকতে পারবে মানুষ, কী কী তার সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে, আর সেসবের মোকাবিলাই-বা কীভাবে সম্ভব হবে ইত্যাদি।  অর্থাৎ, শুধু চাঁদ নয়, চাঁদেরও ওপারে দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন সকলের।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)