নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকেল ৩টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত লাহরে বন্ধ থাকবে মোবাইল ফোন পরিষেবা। বিমানবন্দর ও শহরেও মোতায়েন হয়েছে ১০ হাজার পুলিস। এই বিপুল আয়োজনের কারণ, দেশের তিন দফার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সকন্যা গ্রেফতারি। দুর্নীতির অভিযোগে এই দু'জনের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ পাক আদালত। শুক্রবার লন্ডন থেকে লাহোরে অবতরণের কথা নওয়াজ শরিফ ও তাঁর কন্যা মারিয়ামের। আর এর কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও মারিয়ামকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। শহর জুড়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান প্রশাসনের। তাই নিরাপত্তার আয়োজনে কোনও ফাঁক রাখতে চায়নি সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লন্ডনে চারটি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল শরিফ পরিবারের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই নওয়াজকে ১০ বছরের ও তাঁর কন্যা মারিয়মকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাক আদালত। এছাড়াও 'পানামা পেপারস' কাণ্ডে ২টি অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁকে যে এদিন লাহরে নামার পর জেলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে সে বিষয়ে অবহিত শরিফ। আর ভোটমুখী পাকিস্তানে এই ঘটনার 'পূর্ণ রাজনৈতিক ফয়দা' নিতেও প্রস্তুত এই দুঁদে রাজনীতিক। তিনি বলেছেন, "আমাকে সোজা জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু, আমি যা করছি তা পাক জনতা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য। এমন সুযোগ আর আসবে না। আসুন, পাকিস্তানের ভাগ্য গড়া যাক..."।


শুক্রবার লাহোরে পৌঁছে রাজনৈতিক সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে নওয়াজের। অসংখ্য নওয়াজ সমর্থক এদিন বিমানবন্দরে ভিড় জমাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর নওয়াজকে এই 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য' সাধন করতে দিতে চায় না পাক প্রশাসন। এদিকে, নওয়াজের স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিত্সাধীন। সেখানেই মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এদিন, আবেগ তাড়িত হয়ে মারিয়মকে বলতে শোনা যায়, "আমরা কঠিন পরিস্থিতির সামনে। একদিকে মা ভেন্টিলেশনে, অন্যদিকে আমাদের জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে"। আরও পড়ুন- শান্তি ফেরাতে ভারতকে পাশে চায় ইমরান খান