ওয়েব ডেস্ক: বালোচি অস্বস্তি ঢাকতে ফের কাশ্মীর তাস খেলেছেন নওয়াজ শরিফ। কাশ্মীরে দমনপীড়নের জন্যই উরিতে হামলা হয়েছে। দাবি পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানকে অকারণ দায়ী করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। তবে এমন শরিফি সওয়ালে কান দিচ্ছে না বিশ্ব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানে দুই শরিফে দিল কা রিস্তা। নওয়াজ শরিফ ও রাহিল শরিফ। প্রথমজন প্রধানমন্ত্রী। কাগজে কলমে প্রশাসনিক প্রধান। দ্বিতীয়জন সেনাপ্রধান। জনশ্রুতি, বাস্তবে তিনিই দেশ চালান। অশান্ত কাশ্মীর থেকে উরি। সবক্ষেত্রেই সেনাপ্রধানের লিখে দেওয়া বিবৃতিই কার্যত পাঠ করে চলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবারও রাহিল শরিফের সঙ্গে কথা বলে উরি নিয়ে বিবৃতি দিলেন নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন,  কাশ্মীরে ভারতের দমনপীড়নের ফলই হল উরির সেনাছাউনিতে হামলা। এব্যাপারে কোনওরকম তদন্ত ছাড়া পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।


কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে সামনে রেখে উরির অপরাধ আড়াল করা । গোড়া থেকেই এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু, নওয়াজের এই যুক্তিজালে চিঁড়ে ভেজেনি আন্তর্জাতিক মহলে।


দুই শরিফেরই দিবাস্বপ্ন কাশ্মীরকে সামনে রেখে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে বেকায়দায় ফেলা। তা তো হয়ইনি। বরং বালোচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পাকিস্তানই এখন ব্যাকফুটে। কোয়েটায় ইসলামাবাদের দমনপীড়ন বন্ধ না হলে পাকিস্তানের ওপর জারি হবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এই হুঁশিয়ারিতে বেশ অস্বস্তিতে পাকিস্তান। বালোচিস্তানের দমননীতিকে  ঢাকতে তাই ফের একবার কাশ্মীর তাসই খেললেন শরিফ। তবে এসব দিয়ে কি আড়াল করা যাবে সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসাবে পাকিস্তানের ভূমিকাকে? শরিফের সাফাইয়ে মন ভিজবে কি পশ্চিমী বিশ্বের?