নিজস্ব প্রতিবেদন- ''দরকার পড়লে আমাদের সেনা যুদ্ধ করবে।'' হুঙ্কার ছেড়েছিল পুঁচকে নেপাল। সামরিক দিক থেকে নেপালের থেকে কয়েক গুণ শক্তিশালী ভারত। তবুও নেপাল কী করে প্রকাশ্যে এমন হুঙ্কার ছাড়ার সাহস পায়! লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধাউরা। এই তিনটি ভূখণ্ড নিয়ে ভারত-নেপালের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। নেপাল দাবি করে, ১৮১৬ সালের সুগাউলি চুক্তি অনুযায়ী এই তিনটি ভূখণ্ডে তাদের অধিকার। নেপালের এই দাবি বারবার নাকচ করেছে ভারত। এর মধ্যে ভারত ওই বিতর্কিত ভূখণ্ড একটি রাস্তা তৈরি করে। তার পরই নেপাল বিরোধিতা শুরু করেছে। ৮ মার্চ উত্তরাখণ্ডের পিথাউরাগড়-লিপুলেখের মধ্যে একটি লিংক রোডের উদ্বোধন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নেপাল তখন থেকেই তীব্র বিরোধিতা করছে। এর পর ভারতের চিফ অব আর্মি স্টাফ মনোজ নারাভানে মন্তব্য করেন, ওই লিংক রোডের ব্যাপারে নেপাল সরকার আপত্তি জানাচ্ছে তৃতীয় কোনও দেশের নির্দেশে। তার পরই নেপাল যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিবিসি'র নেপালি সার্ভিস জানাচ্ছে, গত বছর নতুন একটি রাজনৈতিক মানচিত্রে লিপুলেখ ও কালাপানির ভূখণ্ড নিজেদের বলে দাবি করেছিল ভারত। নেপাল তা ভাল চোখে দেখেনি। এবার নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র এবং জাতীয় প্রতীক নির্ধারণে নেপাল লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধাউরাকে তাদের ভূখণ্ড হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। নেপালের পার্লামেন্ট অনুমোদন দিয়েছে। নেপাল সরকারের মুখপাত্র ও অর্থমন্ত্রী ইউভরাজ খাটিওয়াদা জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজের বইপত্রে, সরকারি প্রতীকে এবং অফিস ও আদালতের সব কাগজপত্রে নতুন মানচিত্র ও জাতীয় প্রতীক এবার থেকে ব্যবহার করা হবে। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি অনুমোদন দিলেই এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান সংশোধন কার্যকর হবে। নয়াদিল্লির তরফে নেপালকে জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই সচিব পর্যায় বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্তের এই সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু তার আগেই নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে দিল নেপাল।


আরও পড়ুন- আচমকাই অন্ধকার করাচি; বালাকোট হানার আতঙ্ক ছড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়, আকাশ উড়ল পাক জেট


ভারত ও নেপালের মধ্যে ১৬ হাজার কিমি খোলা সীমান্ত রয়েছে। কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা নেপালের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। ওই অংশের দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন এবং উত্তরে চীনের তিব্বত অবস্থিত। এই ভূখণ্ডটি ভারত, নেপাল ও চীন - তিন দেশের একটি সংযোগস্থলষ আর তাই এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে তিনটি দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেই এই বিতর্কিত ভূখণ্ড নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্তরে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তবে সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি।