নিজস্ব প্রতিবেদন— ৮ই মার্চ উত্তরাখণ্ডের পিথাউরাগড়-লিপুলেখের মধ্যে একটি লিংক রোডের উদ্বোধন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর থেকেই বিবাদের শুরু। নেপালের দাবি, ওই ভূখণ্ড তাঁদের। রোড উদ্বোধনের সময় কাঠমান্ডুতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে নিজেদের আপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি কূটনৈতিক নোট দেয় নেপাল সরকার। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই ভূখণ্ড কোনওদিনই নেপালের ছিল না। তাই সেখানে রাস্তা নির্মাণের অধিকার ভারতের রয়েছে। এর পর থেকেই নেপালের রাজনীতিতে ভারত বিরোধী স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। কালাপানি, লিপুলেখ এবং সুস্তা নিয়ে ভারত ও নেপালের দ্বন্দ্ব রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের চিফ অব আর্মি স্টাফ মনোজ নারাভানে মন্তব্য করেছিলেন, লিপুলেখের লিংক রোড নিয়ে নেপাল সরকারের আপত্তির কারণ অন্য। এক্ষেত্রে অন্য কেউ কলকাঠি নাড়াচ্ছে। আর সেই দেশের কথা শুনেই ভারতের বিরুদ্ধে গর্জাচ্ছে নেপাল। দুই ভূখণ্ড কালাপানি ও লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। নেপাল সরকারের মুখপাত্র ও অর্থমন্ত্রী য়ুভরাজ খাটিওয়াদা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করা হবে। স্কুল-কলেজের বইপত্রে, সরকারি প্রতীকে এবং অফিস-আদালতের সব কাগজপত্রে এবার থেকে এই নতুন মানচিত্র থাকবে।


আরও পড়ুন— আমফান বিদায় নিলেই দরজায় কড়া নাড়বে যে সব সাইক্লোন, জেনে নিন


নেপালের আরেক মন্ত্রী পদ্মা আরিয়াল কালাপানি ও লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নেপালের মন্ত্রিসভা। গত বছর ভারতের প্রকাশিত নতুন মানচিত্রে কালাপানি ও লিপুলেখ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা নিয়ে ভারত—নেপালের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনায় সমস্যা মেটানোর কথা বলা হয়েছে অনেকবার। কিন্তু দিনের শেষে কিছুই হয়নি। দ্বন্দ্ব থেকে গিয়েছে।