নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী পদে রদবদল হয়েছে ১০ বার। এই অবস্থায় রবিবার জাতীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট দিচ্ছেন নেপালের সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সেখানে নিয়ম মেনে নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম দফায় দেশের ৩২টি জেলায় ভোট দিচ্ছেন ৩১ লক্ষের বেশি ভোটার। প্রসঙ্গত এই প্রথম নেপালে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভায় নির্বাচন হচ্ছে একসঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রবিবার সকাল ৭টা থেকে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয়েছে নেপালে। এদিন নির্বাচনে ৩২টি জেলায় কেন্দ্রীয় আইনসভার ৩৭টি আসনে ও প্রাদেশিক আইনসভার ৭৪টি আসনে মোট ৭০২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। দক্ষিণের সমতলভূমি ও কাঠমাণ্ডু উপত্যকার ৪৫টি জেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে দ্বিতীয় দফায়। ওই দিন প্রায় ১২ লক্ষ ভোটার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন কেন্দ্রীয় আইনসভার ১৭৫ জন  ও প্রাদেশিক আইনসভার ৩৫০ জন প্রার্থীর।


গত কয়েক বছর ধরেই নেপালে সরকার গড়া নিয়ে চলছে ডামাডোল। ফলে, ৯ বছরে ১০ বার বদল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী। তারই মাঝে ২০১৫ সালে দেশে প্রথমবারের জন্য রচিত হয়েছে সংবিধান। এরপর থেকেই দেশে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে একটি স্থায়ী সরকার চাইছে নেপালবাসী। গৃহযুদ্ধ থেকে অচলাবস্থা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশন সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে। এদিকে যেমন সিপিএন-ইউএমএল ও সিপিএন(মাওইস্ট সেন্টার) জোট বেধে মাঠে নেমেছে, তেমনই উল্টো দিকে রয়েছে ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধ থামিয়ে এবারের নির্বাচনেই সেখানে তৈরি হতে চলেছে একটি জনগণতান্ত্রিক সরকার।


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের হিংসায় ভারতের হাত, ইঙ্গিত অভ্যন্তরীণমন্ত্রীর