নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের ভূখণ্ড দেশের ম্যাপে স্থান দিয়ে নতুন মানচিত্র সংসদে পাস করিয়ে নিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। মনে করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপে বিরোধীরা চাপে পড়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ফল উল্টো হচ্ছে। এখন প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির পদত্যাগ দাবি করছেন শাসকদলের নেতারাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মধ্যরাতে তৃণমূলকর্মীকে পিটিয়ে খুন, সকালে কুলতুলিতে জ্বলন্ত বাড়িতে উদ্ধার এক ব্যক্তির দেহ!


ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার জন্য শাসকদলের নেতারা এখন দোষারোপ করছেন ওলিকে। তাঁদের বক্তব্য, চিনের প্ররোচনায় পড়ে ভারতের বিরুদ্ধে যেসব মন্তব্য ওলি করেছেন তা রাজনৈতিকভাবে ঠিক নয়, কূটনৈতিকভাবেও ভুল।


সম্প্রতি তিব্বত সীমান্তে নোপালের ৩৩  হেক্টর জমি দখল করে নিয়েছে চিন। তা নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছেন ওলি। শনিবার সকাল এগারোটায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেখানেই ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা ওলির ভাগ্য। কিন্তু সেই বৈঠক শেষপর্য়ন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে। বৈঠক হবে ৬ জুলাই।


গত ৩ জুলাই নেপালের প্রেসিডেন্ট বৈদ্য দেবী ভান্ডারির সঙ্গে দেখা করেছেন নেপাল চিনের রাষ্ট্রদূত। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, নেপালের রাজনৈতিক সমস্যায় মাথা গলানোর চেষ্টা করছেন চিনা রাষ্ট্রদূত হো ইয়ানকি। মনে করা হচ্ছে ভারতের ভূখণ্ড দেশের ম্যাপে স্থান দেওয়ার পেছনেও রয়েছেন এই ইয়ানকি।


আরও পড়ুন-আগামী ২ দিন দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি? জেনে নিন


উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের তিনটি জায়গা নিজের দেশের ম্যাপে স্থান দিয়েছেন ওলি। তার পরই তিনি একের পর এক ভারত বিরোধী মন্তব্য করে চলেছেন। তাঁর দাবি, নেপালের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে তাঁকে উচ্ছেদ করার ছক কষেছে ভারত। নেপালের বিভিন্ন হোটেল ও ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এর সঙ্গে জড়িত দেশের কিছু নেতাও।


এদিকে গত ৩০ জুন  নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা ওলির পদত্যাগের দাবি করেছেন। এতেই আরও চাপে পড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।