নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিজ্ঞতা নেই। নেই পর্যাপ্ত ট্রেনিংও। তবুও বহু উঠতি অ্যাডভেঞ্চার-প্রেমীর মূল লক্ষ্য মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছানো। এর ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। চলতি বছরেই মারা গিয়েছেন ১১ জন পর্বতারোহী। এভারেস্ট জয়ের হিড়িকের জেরে বাড়ছে জঞ্জালও। এবার এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল নেপালের প্রশাসন। নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠিতে উতরালে তবেই পর্বতারোহীদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করল নেপালের পর্যটন মন্ত্রক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতি বছর প্রায় ৯০০ জন ব্যক্তি বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। সফল হল প্রায় ৫০০ জন। বিভিন্ন পর্যায়ের ক্যাম্প থেকে ফিরেও আসতে হয় অনেককে। এদিকে অনভিজ্ঞতার জেরে প্রাণ হারানোর মতো ঘটনাও ঘটে। সেই দিকে নজর দিয়েই নতুন শর্তাবলী চালু করল নেপালের পর্যটন মন্ত্রক। এখন ছাড়পত্র দেওয়া হবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। মাউন্ট এভারেস্টের আগেও  কোনও উঁচু শৃঙ্গে ওঠার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পর্বতারোহীদের।


এভারেস্টের মতো দূর্গম শৃঙ্গে পৌঁছনোর জন্য প্রয়োজন অত্যাধুনিক সরঞ্জামের। অক্সিজেন, তাঁবু, শক্তপোক্ত ব্যাগ, পর্বতারোহণের বিশেষ কাঁটা-যুক্ত বুট, দড়ি, স্টিলের মই, ওষুধ-পত্র, খাবার, বিভিন্ন যন্ত্র, প্রচুর গরম জামাকাপড় প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর টাকার। অথচ বেশিরভাগ পর্বতারোহীই এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করতে নারাজ হয়। কম খরচে নিম্নমানের সরঞ্জাম
ব্যবহার করে শীর্ষে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন অনেকে। ফলে, দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেকে। সেই দিকে নজর রেখে পর্বতারোহীদের জন্য নুন্যতম খরচের পরিমাণ ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে নেপাল। খরচের প্রমাণপত্র দেখালে তবেই মিলবে ছাড়পত্র। 


এভারেস্টে ওঠার হিড়িকের জেরে বাড়ছে জঞ্জালের মাত্রাও। প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক ও ফেলে যাওয়া সরঞ্জামের ফলে দূষিত হচ্ছে পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ। এই সকল দিকগুলি মাথায় রেখেই উঠতি পর্বতারোহীদের এভারেস্টে ওঠার বিষয়ে লাগাম আনতে চাইছে নেপাল। 


আরও পড়ুন : ওড়ার সময় পাখির ধাক্কায় বিকল ইঞ্জিন! ভুট্টার ক্ষেতেই বিমান নামালেন পাইলট


নিয়ম জারি করা হচ্ছে এভারেস্টে সংঘবদ্ধ অভিযান আয়োজন করা পর্যটন সংস্থাগুলির উপরেও। নুন্যতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা না কোনও সংস্থাকে এই ধরনের অভিযান আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানাল নেপালের পর্যটন মন্ত্রক।