New Footage Of Titanic: গভীর সমুদ্রে ১১০ বছরের দৈত্যাকার নোঙর, ভূতুড়ে বয়লার! ফিরল অলৌকিক জলযানের স্মৃতি...
১১০ বছরের ইতিহাসে জাহাজটির এই ধরনের কোনও ভিডিয়ো এই প্রথম সামনে এল। ১৯১২ সালে জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সেই ভয়ানক স্মৃতি, সেই ভয়ংকর ভীতি, সেই দুঃসহ আতঙ্ক। মৃত্যুকঠিন বরফশীতল জলে ধীরে ধীরে ডুবছে এক মহাকায় জাহাজ। যে-জলযান সেই সময়ের নিরিখে প্রায় অলৌকিক জলযান। যাকে নিয়ে ঢক্কানিনাদের শেষ ছিল না। কিন্তু সেই জাহাজই ডুবল মাঝসমুদ্রে। ডুবে-যাওয়া এই জাহাজ নিয়ে এ বছরের মে মাসে নর্থ আটলান্টিকে ওশেনগেট নামের এক সংস্থা একটি আটদিনের মিশন চালিয়েছিল। তারা সমুদ্রজলে নিমজ্জিত টাইটানিক জাহাজকে ঘিরে একটি ভিডিয়ো তোলে। এবার সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ করল তারা। এর মাধ্যমে টাইটানিকের একটি নতুন ফুটেজ সামনে এল। ডুবে থাকা জলযানটির নতুন কিছু ছবি বিশ্ব জুড়ে দেখতে পেল। ১১০ বছরের ইতিহাসে টাইটানিকের এই ধরনের কোনও ভিডিয়ো এই প্রথম সামনে এল। ১৯১২ সালে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল। ভিডিয়োটি অনেক নতুন নতুন জিনিস তুলে ধরেছে। যেমন, ২০০ পাউন্ড ওজনের নোঙর-শিকল, দৈত্য়াকার পোর্টসাইড নোঙর, একটি বয়লার।
আরও পড়ুন: Arms Package for Taiwan: চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই? ফের জিনপিংয়ের চোখে চোখ বাইডেনের...
পৃথিবীর জাহাজডুবির ইতিহাসে টাইটানিক-ডুবি সম্ভবত সব চেয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনা। জাহাজটি ভেঙে দুটুকরো হয়ে গিয়েছিল। আর তখনই কিছু কিছু জিনিসপত্র সমুদ্রের তলদেশে, যাকে সিফ্লোর বলে, সেখানে এসে পড়ে। এবং আজও তা একই রকম ভাবে রয়ে গিয়েছে। সেই ধ্বংসাবশেষের রোমাঞ্চকর ছবি আজও গায়ে কাঁটা দেয়। ভিডিয়োটি তুলেছে ডাইভিং এক্সকারশন কোম্পানি 'ওশেনগেট এক্সপিডিশনস'। এটি ইউটিউবে পোস্টও করা হয়েছে। সকলেই দাবি করছেন, এই ভিডিয়োটি এমন কিছু ছবি বা ফুটেজ সামনে এনেছে যা ১৯১২ সালের পর থেকে কখনও দেখা যায়নি!
টাইটানিকের নোঙর কারা তৈরি করেছে সেটা এবার চোখের সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, নোহা হিঙ্গলে অ্যান্ড সন্স লিমিটেড কোম্পানি এটি তৈরি করেছিল। নোঙরের উপর তাদের নাম খোদাই করা রয়েছে। সমুদ্র-প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল এবং বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রকাশিত ফুটেজ থেকে বিপুল তথ্য আহরণ করতে পারবেন। তাই এ নিয়ে স্বভাবতই বিপুল সাড়া পড়ে গিয়েছে। কেননা এই তথ্য গবেষণা ও বিশ্লেষণ করলে আগামী দিনে প্রচুর জরুরি ও নতুন বিষয় জানা যাবে।