Neptune`s Rings: ৪৩২ কোটি কিলোমিটার দূরের বরফদৈত্যের স্পষ্ট ছবি, খুলে যাচ্ছে অজানা জগৎ...
Neptune`s Rings: নেপচুনের এক গুচ্ছ ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সেই ছবি দেখে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, গত ৩০ বছরে এই গ্রহটির এত স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়নি! নতুন এই সব ছবি নিয়ে তাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশবিজ্ঞানে নানা ওলটপালট ঘটাচ্ছে। এমন সব ছবি ও ছবির সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য তারা প্রকাশ করছে, তাতে মহাকাশবিজ্ঞানের জ্ঞানের পরিধি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবাক হচ্ছেন মানুষ, নতুন করে গবেষণায় মাতছেন জ্যোতির্বিদেরা। সম্প্রতি নেপচুনের ছবি নিয়েও তাই ঘটল। নেপচুন গ্রহটির এক গুচ্ছ ছবি তুলে পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সেই ছবি দেখে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, গত ৩০ বছরে সৌরজগতের শেষ গ্রহটির এত স্পষ্ট ও ঝকঝকে ছবি পাওয়া যায়নি! নতুন এই সব ছবি নিয়ে তাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
সূর্য থেকে পৃথিবী যত দূরে, সূর্য থেকে নেপচুনের দূরত্ব তার তিন গুণ। আর পৃথিবী থেকে নেপচুনের দূরত্ব ৪৩২ কোটি কিলোমিটার। পুরু বরফের চাদরে মোড়া এই গ্রহ। সৌরজগতের এক কোণে অন্ধকার অঞ্চলে ঘোরাফেরা তার। নেপচুনকে 'আইস জায়েন্ট'ও বলা হয়। মহাকাশ থেকে এই গ্রহকে গাঢ় বেগুনি রঙের দেখায়। তবে সব মিলিয়ে গ্রহটির সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান মোটামুটি সীমিতই ধরা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Jupiter Close to Earth: পৃথিবীর কাছে আসছে সৌরজগতের সব চেয়ে বড় গ্রহ! ভয়ংকর কিছু ঘটবে?
সেই অভাব এবার পূরণ করবে জেমস ওয়েবের ছবি। কেননা এবার স্বল্পজ্ঞাত সেই গ্রহটির উপরে নতুন করে আলো ফেলল জেমস ওয়েব। তার পাঠানো ছবিগুলিতে নেপচুনের বলয়গুলি খুবই স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। নেপচুনের বলয় সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক দিনের। কিন্তু, উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাবে এত দূরের এক গ্রহের চার দিকের বলয় ভাল করে পর্যবেক্ষণ করাই এতদিন সম্ভব হয়নি। এবার সেটা সম্ভব হতে চলেছে।
অতীতে নেপচুনের বলয় যে একেবারেই দেখা যায়নি, তা-ও অবশ্য নয়। নাসার ভয়েজার-২ মহাকাশযানের তোলা ছবিতে শেষ বার দেখা গিয়েছিল গ্রহটির বলয়। তবে তার পর থেকে আর এই বলয়ের দেখা পাননি গবেষকরা। জেমস ওয়েবের ছবি আবার সেই সুযোগ করে দিল। তাই তার ছবিগুলি ঘিরে সকলের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিন দশক আগে নেপচুনের বলয়ের যে ছবি দেখা গিয়েছিল, তা খুবই অস্পষ্ট ছিল। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সেই তুলনায় অনেকটাই স্পষ্ট ছবি পাঠিয়েছে। এই সব ছবি নেপচুন নিয়ে গবেষণা নিঃসন্দেহে অনেক এগিয়ে দেবে।